শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতে আন্তর্জাতিক মান নেই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

বিশ্বব্যাপী উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাতের নূন্যতম মানদণ্ড ধরা হয় ১:২০। অর্থাৎ প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক থাকতে হবে। তবে এই মানদণ্ড বজায় রাখতে এবারও ব্যর্থ হয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ ৪৮তম প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ২৩টি বিভাগে পরিচালিত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। এর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে আন্তর্জাতিক মান নেই ১৩টি বিভাগে।
 
শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে সবচেয়ে পিছিয়ে ফোকলোর এবং আইন ও বিচার বিভাগ। বিভাগ দুটিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত ১:৩৮। অর্থাৎ প্রতি ৩৮ জন শিক্ষার্থীর জন্য বিভাগটিতে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র একজন। যা বিশ্বব্যাপী প্রচলিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাতের মানদণ্ডের ধারে-কাছেও নেই। এরপরের অবস্থানে রয়েছে লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগ।

এছাড়া যেসব বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে আন্তর্জাতিক মান নেই সেগুলো হলো- স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং, অর্থনীতি, পপুলেশন সায়েন্স, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, নৃবিজ্ঞান ও চারুকলা বিভাগ।

আরও পড়ুন: ২৩ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করতে যাচ্ছে ইউজিসি

তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে পরিসংখ্যান বিভাগ। বিভাগটিতে প্রতি ১২ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে রয়েছে ১ জন করে শিক্ষক।

ইউজিসির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৬ হাজার ৫ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ২৬৮ জন। অর্থাৎ প্রতি ২২ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক আছেন একজন করে। এর মধ্যে আবার ৩৫ জন শিক্ষক আছেন শিক্ষাছুটিতে।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. শেখ সুজন আলী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী নিশ্চিত করা উচিত। করোনাকালীন সময়ে বেশকিছু শিক্ষক নিয়োগে জটিলতা ছিলো। একারণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কিছু বিভাগে অনুপাতে তারতম্য হয়েছে। তবে ধীরেধীরে এটি সমাধান হবে। 

ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. তপন কুমার সরকার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি জানি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। তবে শিক্ষার গুণগত মান ঠিক রাখতে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত কমানোর কোনো বিকল্প নেই। এর জন্য শিক্ষার্থী সংখ্যা না কমিয়ে শিক্ষক বাড়ানো উচিত। না হলে বড় সংখ্যক শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence