কুবি শিক্ষকদের দ্বন্দ্ব চরমে, সাধারণ সভায় আসেনি একপক্ষ
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:০৭ PM , আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৪১ PM
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। একের পর নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে আলোচনায় আসছেন শিক্ষকরা। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কার্যনির্বাহী পরিষদের ওপর অনাস্থা প্রস্তাবের ১৫ দিনের মধ্যে সাধারণ সভা আহ্বান করার কথা বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী সাধারণ সভা আহ্বান করা হলেও সভায় উপস্থিত হননি অনাস্থা প্রস্তাবকারী শিক্ষকরা।
একে কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় সভা মুলতবি করতে বাধ্য হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি। যেকোনো সভায় কোরামের জন্য মোট সংখ্যার ৩০ শতাংশ সদস্যের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। বৃহস্পতিবার জরুরি সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়েছিল।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী ও সাধারণ সম্পাদক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৮ নভেম্বর শিক্ষক সমিতি ২০২২-এর চতুর্থ সাধারণ সভা (জরুরি) শিক্ষক লাউঞ্জে আহ্বান করা হয়। সভার আলোচ্য সূচি ছিল ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ ২০২২ এর প্রতি অনাস্থা বিষয়ে আলোচনা। তবে যে সব শিক্ষক অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন, তাদের কেউই সাধারণ সভায় উপস্থিত হননি।
ফলে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয়, যারা অনাস্থা দিয়েছেন তারা শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন। তারা শিক্ষক সমিতির মতো পেশাজীবী সংগঠনকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এহেন দায়িত্বজ্ঞানহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আরো পড়ুন: নিজ নামের বিশ্ববিদ্যালয়ে অবহেলিত বেগম রোকেয়া
অনাস্থা প্রস্তাব করে এ প্রেক্ষিতে আয়োজিত সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ না করার বিষয়ে অনাস্থা প্রস্তাবকারী শিক্ষকদের নেতা ও প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অনাস্থার ক্ষেত্রে সাধারণ সভা ডাকার কথা বলা হয়েছে, জরুরি সাধারণ সভা না। তারা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভা না ডাকায় আমাদের অনেকেই যায়নি। আমরাতো নিয়মের বাইরে যেতে পারবো না।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, সাধারণ সভার আলোচ্যসূচি থাকে অনেকগুলো। জরুরি সাধারণ সভার হয় নির্দিষ্ট কোনো একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে। আজকের সভা শুধুমাত্র অনাস্থা বিষয়ে ছিল, সেজন্য জরুরিভাবে আহ্বান করা হয়েছে। তা ছাড়া, উভয় সভা ডাকার পার্থক্য হলো সময়ে। প্রথমটিতে সাতদিন, দ্বিতীয়টিতে ২৪ ঘন্টার কথা বলা হয়েছে। উদ্ভুত পরিস্তিতি সৃষ্টি হওয়ায় আমরা জরুরি সাধারণ সভা ডেকেছি।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর বর্তমান কমিটির ওপর অনাস্থা প্রস্তাব করে চিঠি দেয় শিক্ষকদের একটি অংশ। চিঠিতে ৬০ জন শিক্ষকের স্বহস্ত ও ৪৬ জনের ই-স্বাক্ষর দেখা গেছে। অনাস্থা প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে আজ ৯ ডিসেম্বর সাধারণ সভা আয়োজনের সর্বশেষ সময় ছিল।
এছাড়া, ১ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতির ২০২৩ সালের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে অনাস্থা প্রস্তাবকারী শিক্ষকদের বাধার কারণে ওইদিন ভোটগ্রহণ করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে বাধাদানকারী শিক্ষকরা ভোটকেন্দ্রের ভেতর অবস্থান নিয়েছিলেন।