প্রিলি পাস করা সারজিস-হাসনাত কি ৪৬তম বিসিএসের রিটেনে অংশ নেবেন?
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ০৭:৪৭ PM , আপডেট: ২৮ মে ২০২৫, ০১:০৫ AM
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কমিশন (পিএসসি)। সরকারি চাকরির স্বপ্ন নিয়ে গত বছরের ২৬ এপ্রিল এই বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই গ্র্যাজুয়েট। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হয়েছেন তারা।
তবে একটি অভ্যুত্থান তাদের জীবনকে পাল্টে দিয়েছে। আজ তারা একটি রাজনৈতিক দলের প্রথম সারির দুই নেতা। এই দুই তরুণ হলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় এনসিপির এই দুই নেতা উত্তীর্ণ হলেও লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার।
তিনি বলেন, হাসনাত ও সারজিস ভাই জানিয়েছেন তারা ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন না। কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, তারা বর্তমানে একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। রাজনীতির মাধ্যমে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করার সুযোগ এসেছে তাদের হাতে। তাই তারা এই সুযোগটা কাজে লাগাতে চান। আপাতত তারা শুধু দেশ ও জাতির কল্যাণে কীভাবে কাজ করা যায় সেটি নিয়েই ভাবছেন এবং এই কাজে যতটা সম্ভব নিজেদের ব্যস্ত রাখছেন।
জুলাই অভ্যুথানে সামনে থেকে নেতৃত্বে দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই দুই নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে সারজিস প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এবং হাসনাত ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
২০২৪ সালের ৯ মে ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে ওই বছরের ৫ জুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকারের জারি করা কোটা বাতিলবিষয়ক পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করে। এরপরই শুরু হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন, এক পর্যায়ে তা রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। এই আন্দোলনের সম্মুখ সারির নেতৃত্বে ছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। সরকার পতনের পর তারা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নামে রাজনৈতিক একটি দল গঠন করেছেন।