ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস বিক্রির অভিযোগ, বিওটি চেয়ারম্যানকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়ার আল্টিমেটাম
- ইইউবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৭ PM , আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫১ PM
বেসরকারি ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের (বিওটি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জাল দলিল বানিয়ে ক্যাম্পাস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিওটি চেয়ারম্যানকে ক্যাম্পাস ছাড়তে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২ জুলাই) ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির গাবতলী ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের ইউনিভার্সিটির নামে শ্যামলীতে নিজস্ব ক্যাম্পাস আছে, যেটি রূপায়ণ হাউসিং স্টার্ট কোম্পানি থেকে ২০১০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ক্রয় করেন তৎকালীন ভিসি ছিলেন ড. মকবুল আহমেদ খান। পরবর্তীত ২০২২ সালের ৩ জুলাই জাল দলিলের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের মালিকানা নিজের নামে করে নেন ইউনিভার্সিটি তৎকালীন ভিসি ড. মকবুল আহমেদ খানের ছেলে ফরহাদ খান তামিম।
শিক্ষার্থীরা জানান, ‘‘২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর মকবুল আহমেদ খানের ছেলে ফরহাদ খান তামিম জোরপূর্বক ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হন এবং শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি এই ক্যাম্পাসের উন্নয়ন করতে এসেছি, আমার বাবার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে এসেছি, আমাকে সময় এবং সাহায্য করবেন আপনারা। এরপর কিছুদিন পর শিক্ষার্থীরা জানতে পারেন, তাদের শ্যামলী ক্যাম্পাস বিক্রি হয়ে গেছে এবং জাল দলিলের মাধ্যমে সেটি বিক্রি করে দিয়েছেন ফরহাদ খান তামিম। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল ইউজিসিতে গেলে, সেখান থেকে তারা জানতে পারেন ফরহাদ খান তামিম ট্রাস্টি চেয়ারম্যান নন বরং ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এখনো ডক্টর মকবুল আহমেদ খান।’’
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বর্তমান ভুয়া ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ফরহাদ খান তামিম দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব আমাদের ক্যাম্পাসকে বাঁচানোর জন্য। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বাবা ছেলের দ্বন্দের মাঝে আমাদের লেখাপড়ার মান নষ্ট হচ্ছে, এর সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘ভুয়া ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ফরহাদ খান তামিম ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ না করলে আমরা সকল শিক্ষার্থী তাকে অপসরণের আন্দোলনে যাব।’