অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল করীমের মৃত্যু, এনইউবি ভিসির শোক

অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল করীম
অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল করীম  © টিডিসি সম্পাদিত

নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এনইউবি)-এর মানবিক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং প্রাক্তন উপ-উপাচার্য অধ্যপক ড. আনোয়ারুল করীম মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গত শুক্রবার (৩০ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এনইউবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. মোস্তাফিজুর রহমান। 

উপাচার্য ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তার শোকবার্তায় প্রয়াত অধ্যাপকের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার পরিবার, সহকর্মী, সহপাঠী, ছাত্র-ছাত্রী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

আজ রবিবার (১ জুন) এক শোকবার্তায় উপাচার্য বলেন, “অধ্যপক ড. আনোয়ারুল করীম ছিলেন একজন বিদগ্ধ শিক্ষক, গবেষকও  চিন্তাবিদ। তার মৃত্যুতে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এক মহান শিক্ষাবিদ ও মূল্যবান দিকনির্দেশককে হারালো। তিনি আমাদের জন্য ছিলেন এক আলোকবর্তিকা—যিনি নিজের জীবন ও কর্মের মাধ্যমে শিক্ষা, গবেষণা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।”

উপাচার্য আরও বলেন, “তার কর্মজীবন ছিল বহুমাত্রিক, বর্ণাঢ্য ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বীকৃত। লোকসংস্কৃতি, বিশেষত বাউল ও লালন চর্চায় তিনি ছিলেন পথিকৃৎ। হার্ভার্ড, কলম্বিয়া, ফিলিপাইনস, লন্ডন ভারতসহ পৃথিবীর বহু খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বাংলা সংস্কৃতি, সুফিবাদ ও বাউল দর্শন নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি ৪০টির বেশি গবেষণাগ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর গবেষণাগ্রন্থ ও প্রকাশনাসমূহ শুধু অ্যাকাডেমিক অঙ্গনেই নয়, সাংস্কৃতিক ইতিহাসেও অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে।”

উপাচার্য গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “ড. করীম কেবল অ্যাকাডেমিক জ্ঞানচর্চার ব্যক্তিত্ব নন, তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের একজন সক্রিয় সংগঠক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং সমাজ উন্নয়নের নিবেদিত এক প্রাণ। তিনি ছিলেন আদর্শ শিক্ষক ও নৈতিকতায় অনড় এক মানুষ।”

অধ্যপক ড. আনোয়ারুল করীম তার চাকরিজীবনে বিভিন্ন সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেন। তিনি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ ও উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর খুলনা ক্যাম্পাসে শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীতে ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত উপ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি মানবিক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ