শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন  © টিডিসি ফটো

শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করলেন ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ (ইইউবি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের প্রফেসর ড. মকবুল আহম্মেদ খান। আজ শনিবার (২৬ আগস্ট) পদত্যাগের করেন তিনি।

পদত্যাগপত্রে প্রফেসর ড. মকবুল আহম্মেদ খান উল্লেখ করেন, ২৬ অক্টোবর থেকে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম।

এর আগে এডমিন অফিসার ছাবিকুর নাহার আসমার সাথে ট্রাস্টি চেয়ারম্যান মকবুলের একটি অনৈতিক সম্পর্কের গোপন ভিডিও ভাইরাল হয় এবং শিক্ষার্থীরা মকবুলের পদত্যাগের দাবি তুলে আন্দোলন করেন। পরবর্তীতে আরও অসংখ্য দুর্নীতি উঠে আসে তার বিরুদ্ধে।

এদিকে, আজ সকাল ১০টায় শিক্ষার্থীরা ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা গাবতলী টু আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে স্লোগান দফা এক দাবি এক মকবুলের পদত্যাগ, মকবুলের দুই গালে জুতা মারো তালে তালেসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং ট্রাস্টি চেয়ারম্যান পদত্যাগ চেয়ে কর্মসূচি পালন করেন।

ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মকবুল আহম্মেদ খানের পদত্যাগ ও ট্রাস্টি বোর্ড ভেঙে নতুন এডহক ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের জন্য আজ পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একই সাথে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ট্রাস্টি চেয়ারম্যান সসম্মানে পদত্যাগ না করলে তার অবস্থাও শেখ হাসিনার মতো হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের মুখে শিক্ষার্থীদের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পদত্যাগ করলেন ট্রাস্টি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মকবুল আহম্মেদ খান। এবং এডহক ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে যেখানে ছাত্রদের মধ্যে থেকে একজন প্রতিনিধি থাকবেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, দুর্নীতির আখড়া গড়ে তুলেছেন মকবুল আহম্মেদ খান। লালমাটিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ করে ৬ তলা আলিশান বাড়ী নির্মান কার্যক্রম। জনতা হাউজিং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল্ডিং, শ্যামলীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল্ডিং ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন। বলিয়ারপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা দখল এবং বিদেশিদের দিয়ে জুতা ফ্যাক্টরি করার প্রস্তাবিত সহ অসংখ্য দুর্নীতি উঠে এসেছে।

এছাড়া, শুধু এডমিশনই ৫ জনের বেতন বাবদ বছর অর্থ আত্মসাৎ ২০ লক্ষ টাকা আরো ৩০০ এর মত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে উনাদের থেকে কত কোটি আত্মসাৎ করেছেন সেটাও আমরা বের করছি। 

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, মকবুল সুধু পদত্যাগ করলেই হবে না অপকর্মের জন্য যথাযথ শাস্তি পেতে হবে। সকল তথ্য প্রমাণসহ ইউজিসি চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবো আমরা শিক্ষার্থীরা। সকল তথ্য প্রমাণসহ দুর্নীতি দমন কমিশনে চিঠি দিবো যেন মকবুলের সকল অপকর্মের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তারা।


সর্বশেষ সংবাদ