ডিআইইউ-সানপা-আইওএম আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০২৪’ এর উদ্বোধন

  © সংগৃহীত

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ), সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন (সানপা), এবং ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এর যৌথ উদ্যোগে রাজধানী ঢাকার গুলশানে সিক্স সিজন্স হোটেলে দক্ষিণ এশিয়া, টেকসই উন্নয়নে অর্জন ও আমাদের অবস্থান ‘সাস্টেনেইবেল ডেভেলপমেন্ট ইন সাউথ এশিয়া: হোয়ার ডু উই স্ট্যান্ড’ শীর্ষক ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ২০২৪ উদ্বোধন হয়েছে আজ অক্টোবর ২৫। 

তিনদিন ব্যাপী এই কনফারেন্সে বাংলাদেশসহ ১৫ টি দেশের এবং ৯০ টি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান হতে ২৫০ জন একাডেমিশিয়ানস ও স্কলারস অংশগ্রহন করবেন। জাতীয় পর্যায়ের গবেষকদের পাশাপাশি থাকবেন ৪০ জন বিদেশী বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর নিয়াজ আহমেদ খান, ওয়েস্টার্ন সিডনী ইউনিভার্সিটির এমিরিটাস প্রফেসর আনিস চৌধুরী, ডিআইইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আইওএম বাংলাদেশের চিফ অব মিশন ফাতিমা নুসরাত গাজ্জালী, সানপা প্রেসিডেন্ট এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাব্যামা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আখলাক হক, এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মেম্বার প্রফেসর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। ইন্টারন্যাশনাল পার্টিসিপ্যান্টসদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেইন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর প্রভাত কুমার দত্ত, হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর লেজলি এ পাল এবং পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইয়ামিনা সালমান। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ হেডকোয়ার্টার্স এর ডিপিআইডিজি কুয়াং ঝু ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘একটি কার্যকর, আন্তরিক এবং স্বচ্ছ শাসন কাঠামো জাতিসংঘের নির্ধারিত ১৭ টি এসডিজি লক্ষ্য অর্জনের জন্য আবশ্যক। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন এসডিজি এর সুবিধাগুলো কোনো নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সকলের কাছে পৌঁছে যায়। শুধুমাত্র বৈশ্বিক লক্ষ্যগুলোকে আঞ্চলিকীকরণই এর মধ্যেই সেটা সম্ভব। আমি এই কনফারেন্সের সাফল্য কামনা করি।’ 

উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন বাংলাদেশসহ সমগ্র পৃথিবীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি টেকসই পৃথিবী অর্জনের লক্ষ্যে বৈশ্বিক পরিবর্তনের যে জোয়ার চলছে তার সাথে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে।’ 

আইওএম বাংলাদেশ প্রধান ঈশিতা শ্রুতি অনুষ্ঠানে অভিবাসন সমস্যা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় ৪০ কোটি মানুষের অবস্থান দারিদ্র্যরেখার নিচে। অর্থনৈতিক মন্দা, নীতিনির্ধারণী জটিলতা, ভঙ্গুর স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং আইনি দুর্বলতা এই অঞ্চলের অভিবাসন সমস্যার মূল কারণ।’ টেকসই উন্নয়নের জন্য এই বিষয়গুলো বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। 

সানপা প্রেসিডেন্ট এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাব্যামা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আখলাক হক বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের একাডেমিশিয়ানস এবং স্কলারদের নিয়ে পাঁচ বছর আগে সানপা এর যাত্রা শুরু হয়েছিল। আমরা এই সময়ে অনেক পথ এগিয়েছি। আমি আশা করছি আজকের এই কনফারেন্স আপনাদেরকে একটি টেকসই উন্নয়নে উদ্‌বুদ্ধ করবে।’

ডিআইইউ এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘এই কনফারেন্স আয়োজন করতে পেরে আমরা আনন্দিত ও অভিভূত। অনুষ্ঠানে আগত সকলকে হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে অভিনন্দন। আশা করছি এই কনফারেন্স দেশের টেকসই উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে।’ 

ড. শরিফুল আলম, ভোট অব থ্যাংকসে আয়োজকদের অভিনন্দন জানান এবং এ ধরণের কনফারেন্স আরও আয়োজন করার অনুরোধ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি সামগ্রিক উন্নয়নে ন্যায্যতা নিশ্চিত করা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং সামগ্রিকভাবে জীবনযাত্রার মান উন্নত করার ধারণাকে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে মতামত দেন। আলোচনার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কিত বর্তমান অবস্থার একটি সাধারণ চিত্র পাওয়া যাবে এই সম্মেলনে যা অ্যাডভোকেসি এবং গবেষণা সংস্থাগুলি তাদের কাজের জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড ইনফরমেশন হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন। পাশাপাশি নীতি নির্ধারকরা আলোচনা এবং যুক্তি থেকে উপকৃত হবে।


সর্বশেষ সংবাদ