প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে: ইউআইইউতে স্টিফেন ইবিলি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪, ০৯:১৪ PM , আপডেট: ৩১ মে ২০২৪, ০৯:২৯ PM
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি মিশন চিফ (ভারপ্রাপ্ত) স্টিফেন ইবিলি বলেছেন, সব শিক্ষার্থীরই ভালো কিছু করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের প্রতিভা বিকাশের জন্য তাদের আরও বেশি সুযোগ দিতে হবে। শুক্রবার (৩১ মে) বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) ‘ইন্টারন্যাশনাল লিডারশিপ প্রোগ্রাম অন এডুকেশন’ সামিটের সমাপনী পর্বের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিযোগিদের উদ্দেশ্যে স্টিফেন ইবিলি বলেন, শিক্ষার্থীদের নিজের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। তার দেশ শিক্ষার্থীদের সকল সম্ভাবনাকে উৎসাহিত করে জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও সে সুযোগ নিতে পারে।
শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের বিকাশ ঘটিয়ে তাদের আগামীদিনের জন্য যোগ্য করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ইন্টারন্যাশনাল লিডারশিপ প্রোগ্রাম অন এডুকেশন’ সামিট-২০২৪। অনুষ্ঠানে দেশের ৬৪ জেলা থেকে বাচাই পর্বে উত্তীর্ণ প্রতিযোগিরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করেন। এদিন চূড়ান্ত পর্বে বিভিন্ন বিভাগের সেরা শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা হয়েছে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘ইন্টারন্যাশনাল লিডারশিপ প্রোগ্রাম অন এডুকেশন’ সামিট শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের গুণাবলিসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে। এখানে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিভা বিকশিত করার সুযোগ পাচ্ছে এবং তা কাজে লাগিয়ে তারা সামনের দিনে এগিয়ে যেতে পারবে। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে।
শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে সারা দেশ থেকে আগর শিক্ষার্থীরা বিভাগভিত্তিক প্রতিযোগিতার মূল পর্বে অংশগ্রহণ করেন। এরপর দিনব্যাপী নানা আয়োজনের পর্বগুলো মাতিয়ে রাখে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উচ্ছ্বাস ছিল তাদের সাথে আসা অভিভাবক ও দেশের বিভিন্ন শিক্ষালয় থেকে আসা শিক্ষকদেরও।
‘ইন্টারন্যাশনাল লিডারশিপ প্রোগ্রাম অন এডুকেশন’ সামিটে অংশগ্রহণ করতে সুদূর খুলনা থেকে এসেছেন সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাফিসা তাবাসসুম। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ শেষে এই শিক্ষার্থীর সাথে কথা হয় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের। তিনি বলেন, আমি এখানে প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণ করতে এসেছি। আমার অনেক ভালো লাগছে। আমি আশা করছি, এ ধরনের আয়োজন আরও বেশি করা হবে যেন আমরা আরও বেশি অংশগ্রহণ করতে পারি।
একইরকম প্রত্যাশার কথা জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারাহ জামান বলেন, এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের গুণাবলি বিকশিত করতে সহায়তা করবে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষামূলক আয়োজনগুলো আরও বেশি হওয়া উচিৎ। যাতে তারা আগামীদিনের জন্য যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
বরাবরের মতো এবারও ‘ইন্টারন্যাশনাল লিডারশিপ প্রোগ্রাম অন এডুকেশন’ সামিটের পুরো আয়োজন করেছে জিস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) জনসংযোগ অফিসের পরিচালক আবু সাদাত দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা ইউআইইউর পক্ষ থেকে আয়োজনটি নির্বিঘ্নি করতে সব ধরনের সহায়তা করছি। ইউআইইউ তার সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এসব আয়োজন সামনের দিনগুলোতে অব্যাহত রাখবে।
আবু সাদাত বলেন, আমাদের 'ইন্টারন্যাশনাল লিডারশিপ প্রোগ্রাম অন এডুকেশন' সামিট দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে চায়। তাদের সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করতে চায় এবং তাদের সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে কাজ করছে। শুরু থেকেই আমরা শিক্ষার্থীদের অনেক সাড়া পেয়েছি। প্রায় ১০ হাজারের মতো শিক্ষার্থী এবারের আয়োজনে অংশগ্রহণ করছে। অভিভাবকদেরও শুরু থেকেই ব্যাপক সাড়া ছিল। এটি আমাদের আশাবাদী করছে সামনের দিনগুলোতে এ আয়োজনকে আরও গতিশীল করতে।
আগামীদিনে ‘ইন্টারন্যাশনাল লিডারশিপ প্রোগ্রাম অন এডুকেশন’ সামিট আরও বৃহৎ পরিসরে আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে জিস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিপ্লব কুমার বলেন, আমরা শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। এটি আমাদের উৎসাহিত করছে। আমরা আরও বৃহৎ পরিসরে পরবর্তী আয়োজনগুলো করার পরিকল্পনা করছি। এছাড়াও এখানকার শীর্ষস্থান অর্জন করা শিক্ষার্থীরা মালেশিয়ার রাজধানীতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম মিয়া বলেন, বাংলাদেশে ৪.৫ কোটিরও বেশি তরুণ রয়েছে। তাদের শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো। তরুণদের জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। এছাড়াও স্থায়িত্ব ও এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবাইকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করা উচিত। তরুণরা আগামীর নেতৃত্বকে বিকশিত করবে।