ছাত্রলীগের বিতর্কিত নেতাদের জন্য রয়েছে বড় বার্তা

  © সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন ছাত্রলীগের বিতর্কিতদের দায় সরকার নিবে না। এছাড়া ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বড় জমায়েতের পাশাপাশি অপকর্মে জড়িত ও বিতর্কিতদের জন্য বড় বার্তা আসতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে নেতা কর্মীদের দেয়া হবে কঠিন বার্তা।

এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আবরার হত্যা এবং রাজশাহী পলিটেকনিকে অধ্যক্ষকে যে ছাত্রলীগ কর্মীরা অপমান করেছে এমন নেতা ও কর্মী আমাদের দরকার নেই।'

এদিকে ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা বলছেন, সামনের সময়গুলোতে সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি বছর জুড়ে চলবে বিভিন্ন ওরিয়েন্টশন। গেলো বছর টেন্ডার,চাঁদাবাজি,কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগে ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এছাড়াও সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের নানান অপর্কমের জন্য সমালোচনায় ছিলো সংগঠনটি। যাতে বিব্রত আওয়ামী লীগ নেতারাও।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, 'একটি পরিবারের কোন সদস্য যদি অপরাধ করে তাহলে পুরো পরিবারই বদনামের স্বীকার হয়। তাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কোন কর্মী যদি অপকর্মে লিপ্ত থাকে তাহলে তা ছাত্রলীগ পরিবারের উপরই বর্তায়।'

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, 'আবরার হত্যাকান্ড হওয়ার পর কিন্তু আমরা কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করিনি। যারা দোষী ছিল প্রত্যেককে আমরা বহিষ্কার করেছি।প্রশাসনকেও আমরা অনুরোধ করেছি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। আমরা সবসময়ই বলে এসেছি যেই কোন অন্যায় বা অপকর্মে লিপ্ত্ হবে বাংলাদেশ ছাত্রলিগ কখনই তাদের প্রশ্রয় দিবে না।'

তবে, সংগঠনের সাবেক নেতারা মনে করেন ব্যক্তির দায় সংগঠনের উপর বর্তায় না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর ব্যাপারী বলেন, '২৭ বছরের নিচে যাদের বয়স তারাই ছাত্রলীগ করে, ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে তারা শিশুর ভূমিকায় আছে। ছোটরা ভুল করলে তা শোধরিয়ে নেয়াই আমাদের কর্তব্য। তারা প্রতিনিয়ত শোধরিয়ে যাচ্ছে,এভাবে সামনে এগিয়ে যাবে এটাই আমাদের প্রত্যয়।'

এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, 'তাদের পূর্ণ দায়িত্ব দেয়ার কোন গঠনতান্ত্রিক সুযোগ নেই। তাই অতি শীঘ্রই তাদের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা দেয়া হবে। তবে যেকোন পদে থেকেই নিজেদের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান, ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা।


সর্বশেষ সংবাদ