বাবার সঙ্গে সর্বশেষ যে কথা হয়েছিল এনসিপি নেত্রী রুমীর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৯ PM
শেষ ফোনালাপে বাবার কাছে মানসিক চাপের কথা জানিয়েছিলেন এনসিপি নেত্রী জান্নাতারা রুমী (৩২)। একই সঙ্গে পাসপোর্টের কাজ শেষ করতে শিগগিরই বাড়ি ফেরার কথাও বলেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছ থেকে মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পান রুমীর বাবা জাকির হোসেন। খবর পেয়ে তিনি মেয়ের মরদেহ আনতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
রুমীর বাবা গণমাধ্যমকে জানান, গত ১৩ ডিসেম্বর মেয়ের সঙ্গে তার সর্বশেষ ফোনে কথা হয়েছিল। সে সময় রুমী তাকে বলেছিলেন যে তিনি মানসিকভাবে ‘টেনশনে’ আছেন। তবে কী কারণে তিনি দুশ্চিন্তায় ছিলেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। পাসপোর্ট করতে রুমীর বাড়ি আসার কথা ছিল।
এছাড়াও রুমি তার বাবাকে বাসায় একটি ব্যাংক চেক রাখা আছে বলে জানান। তিনি সেই চেকটি বাবাকে খুঁজে রাখতে বলেছিলেন।
দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে জান্নাতারা রুমী হুমকি ও হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন বলে তার দলের পক্ষ থেকে যে অভিযোগ, তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সাথে পারিবারিক ও ব্যক্তিজীবনেও তিনি কিছু জটিলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।’
এদিকে রুমী জাতীয় নাগরিক পার্টি, এনসিপির ধানমণ্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব। তিনি বলেন, ‘প্রায় দুই মাস ধরে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন রুমী। তিনি হত্যা ও ধর্ষণের হুমকিও পেয়ে আসছিলেন। এসব কারণে গত কিছুদিন ধরে ট্রমাটাইজড ছিলেন। দলের কর্মসূচিতে এলেও বিমর্ষ থাকতেন রুমী।’
এর আগে ঢাকার জিগাতলার একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে জান্নাতারা রুমীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রাজনৈতিক হুমকি ও পারিবারিক জটিলতা গত ১৪ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ চলাকালে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে মধ্য বয়সী এক নারী মারধরের শিকার হন। সেই মারধরে জড়িত থাকার ঘটনায় আলোচনায় আসেন তিনি।