নিবন্ধিত ৬টি, অনিবন্ধিত ১২টি
১৮ দলের সমন্বয়ে নতুন রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০৩ PM
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ)’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি এবং আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টি-জেপিসহ নিবন্ধিত ৬টিসহ মোট ১৮টি দল আছে এই জোটে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানের ইমানুয়েলস সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। নতুন জোটে ছয়টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। আর ১২টি অনিবন্ধিত দল রয়েছে।
নিবন্ধিত দলগুলো হলো-জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (মহসিন রশিদ)।
অনিবন্ধিত দলগুলো হলো-জনতা পার্টি বাংলাদেশ, তৃণমূল বিএনপি, গণফ্রন্ট, জাতীয় ইসলামিক মহাজোট, বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টি, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পার্টি, অ্যাপ্লায়েড ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ডেমোক্রেটিক পার্টি, জাতীয় সাংস্কৃতিক জোট, জাতীয় সংস্কার জোট ও বাংলাদেশ লেবার পার্টি (সেকান্দার আলী)।
জোটের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রকৃত গণতান্ত্রিক রূপান্তর এগিয়ে নেওয়া, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা এবং ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে দলগুলো এই জোট গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই জোটের লক্ষ্য হলো প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য চাপ সৃষ্টি করা, ফ্যাসিবাদের চিরস্থায়ী অবসান এবং সুশাসনের প্রত্যাশায় থাকা মানুষের কণ্ঠস্বরকে জোরালো করা।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও জোটের মুখপাত্র এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ছিলেন দেশের শ্রেষ্ঠ সংস্কারক। তাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পূর্ণ হয় না। তিনি ১৯৮৬ সালে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা চালুর লক্ষ্যে নির্বাচন দিয়েছিলেন। আজও সেই কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এজন্য আমাদের লড়াই অব্যাহত।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি প্রধান উপদেষ্টা সকল দলকে নিয়ে একটি সুস্থ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবেন। কোনো দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করলে সেই সরকার স্থায়ী হবে না—ইতিহাস এটাই প্রমাণ করেছে।