আড়াইহাজারে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৬, আহত ৩০
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৩ AM
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুটি পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধরা হলেন- খায়ের উদ্দিন, আব্দুল মতিন, জোনায়েত মিয়া, কালু মিয়া, খলিলুর রহমান ও আল আমিন।
গুলিবিদ্ধ ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত বাকি ব্যক্তিদের আড়াইহাজার, সোনারগাঁও, হোমনা ও মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের খালিয়ারচর এলাকায় সংঘর্ষ চলে। এ সময় উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি কবির হোসেন এবং যুবদল সভাপতি ফকির জহিরুল ইসলামের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি কবির হোসেন তার অবস্থান শক্ত করতে ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের অনুসারীদের নিজের দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করলে উত্তেজনা আরও বাড়ে।
আরও পড়ুন: বিইউপি শিক্ষার্থী ধর্ষণ, বিচারের দাবিতে পরীক্ষা বর্জন শিক্ষার্থীদের
এরই মধ্যে ফকির জহিরুল ইসলামের চাচা রিপন হত্যা মামলায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলার আসামিরা জামিন ছাড়াই এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে এবং শনিবার সকালেই খালিয়ারচর পশ্চিমপাড়া ফকিরবাড়ি জামে মসজিদের সামনে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন খায়ের উদ্দিন (৪২), আব্দুল মতিন (৫০), জোনায়েত মিয়া (২৫), কালু মিয়া (৩৭), খলিলুর রহমান (৪০), আল আমিন (২৫), রশিদ মিয়া (৫০), মনির হোসেন (৩৫), মজিবুর রহমান (৫০), সালাউদ্দিন মিয়া (৩৫), বিল্লাল হোসেন (৩৫), শুভ মিয়া (২৫), জুনায়েদুর রহমান জুনায়েত (২৫), রাজীব মিয়া (১৫), আহাদ মিয়া (১৮), তামিম মিয়া (১৪), আব্দুর রহিম (৪৫), আলমগীর হোসেন (৪২), স্বপন মিয়া (৪০), আমির আলী (৬০), জমির আলী (৫০), ও রাফি মিয়া (২৪)।
যুবদল নেতা ফকির জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যা মামলার আসামিরা জামিন না নিয়েই গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী বাধা দেয়। তখনই সংঘর্ষ শুরু হয়।”
অন্যদিকে বিএনপি নেতা কবির হোসেন দাবি করেন, “জহিরের লোকজনই বিনা কারণে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’
আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’