দল চাওয়ায় ৩০ মিনিটের ব্যবধানে সরকারি চাকরি ছাড়েন জামায়াত আমির
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩৬ PM , আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১১ AM
গত ৪ অক্টোবর (শনিবার) রাজধানীর মগবাজারের আল-ফালাহ মিলনায়তনে দেশের নির্বাচিত মুফাসসির ও ইসলামি চিন্তাবিদের সঙ্গে এক স্মৃতিচারণমূলক আলোচনায় অংশ নেন জামায়াত আমীর ড. শফিকুর রহমান। যেখানে উঠে আসে তার জীবনের এক বিস্ময়কর বাঁক বদলের গল্প।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত আমীর বলেন, ‘সরকারি চাকরির পোস্টিং হয়েছে সুনামগঞ্জের একটি সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার হিসেবে। ডিউটি হয়েছে মাত্র ১ বছর তিন মাস। হঠাৎ সিলেট থেকে টেলিফোন আসলো, আগামীকাল সকাল সাড়ে দশটায় সিলেট জামায়াতে ইসলামীর অফিসে থাকতে হবে। আমি নৌকা, রিক্সায় করে সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট পৌঁছাতে সাড়ে ১১টা বেজে গিয়েছে। আমি পৌঁছাতে পৌঁছাতে মিটিং শেষ হয়ে যায়।
আমি অফিসে পৌঁছানো মাত্রই দায়িত্বশীলগন আমাকে নিয়ে আবার মিটিং এ বসলেন। দায়িত্বশীলগণ আমাকে জানালেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আপনি সিলেটে চলে আসবেন। তিনি আর বুঝতে সময় নিলেন না, তিনি বললেন আমাকে ৩০ মিনিট সময় দেন।
আরও পড়ুন: কেমন হলো বিসিবি নির্বাচন?
৩০ মিনিট পরে তিনি সিলেট জামায়াতে ইসলামীর অফিসে বসেই রিজাইন পেপার লিখে ফেলেছেন। দায়িত্বশীলগন বললেন, আপনি এত তারাতাড়ি সিদ্ধান্ত নিলেন কিভাবে? আপনার বাবা, মা, ভাই, সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর সাথে পরামর্শ করার দরকার আছে না? জামায়াত আমির বললেন, আমার বাবা, মা, ভাই কখনোই আমাকে চাকরি ছাড়তে অনুমতি দিবে না। যদি এরপরেও চাকরি ছেড়ে দেই, তাহলে এটা হবে মা-বাবার কথা অমান্য করা। তাই আমি চাকরি ছেড়ে দিয়ে তাদেরকে জানালে আর সমস্যা হবে না।
তিনি জানান, সে সময় তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী পড়াশোনা করছিলেন। উপার্জনের অন্য কোনো পথ সেই মূহুর্তে আর খোলা ছিল না।
প্রসঙ্গত, জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান ১৯৭৪ সালে স্থানীয় বরমচাল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি এবং ১৯৭৬ সালে সিলেট এম সি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এইচ এস সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৮৩ সালে সিলেট মেডিকেল কলেজ (বর্তমান এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ) থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জনের পর চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি রাজনীতিতে আত্মনিয়োগ করেন।