‘নিলুফার চৌধুরী শহীদ আবরার ফাহাদকে নিয়ে নির্লজ্জ রসিকতা করেছেন’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৩ PM
বিএনপি নেত্রী নিলুফার চৌধুরী মনি শহীদ আবরার ফাহাদকে নিয়ে নির্লজ্জ রসিকতা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের (আপ বাংলাদেশ) প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত। আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নিজ আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে রাফে সালমান রিফাত বলেন, নিলুফার চৌধুরী মনি আপা, আপনি শহীদ আবরার ফাহাদকে নিয়ে নির্লজ্জ রসিকতা করেছেন। আবরার ফাহাদ ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ-পন্থী রাজনীতির জন্য এক দুঃসাহসিক প্রতিরোধের প্রতীক। তাকে শিবির ট্যাগ দিয়ে রাতভর নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের কতিপয় নিকৃষ্ট জানোয়ার।
তাদের পরিচয় তো শুধু তাদের বন্ধুবান্ধবের কাছে না, পুরো জাতির কাছেই পরিষ্কার। একই জানোয়ারদের কয়েকজন তার বছরখানেক আগে একই হলের গেস্টরুমে আমাকেও প্রায় তিন ঘন্টা নির্যাতন করেছে। আজ তারা হত্যার আসামী হিসেবে দিন গুজরান করছে।
আপা, শুধুমাত্র ব্যক্তি রাজনীতির স্বার্থে যে জঘন্য মিথ্যাচার এবং মিথ্যা বয়ান আপনারা তৈরী করে চলেছেন তাতে শুধুমাত্র দিল্লি আর তার প্রক্সি হাসিনাকেই উপকৃত করছেন। আপনার বক্তব্য এজেন্সি ইঞ্জিনিয়ার্ড বলে মনে হয়। আপনি বিএনপির বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী নীতির বিরুদ্ধে, নিজের দলের মৌলিক আদর্শের বিরুদ্ধে গিয়ে কথা বলেছেন।
আপনি জামায়াত শিবিরের বিরোধিতা রাজনৈতিক ভাবে করতে পারেন অবশ্যই। করবেন এটা স্বাভাবিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। কিন্তু জাতির বীরত্বের প্রতীক, ফ্যাসিবাদ বিরোধী এক মহান শহীদকে নিয়ে এমন দিল্লিপন্থী হাসিনা মার্কা বক্তব্য অত্যন্ত নিকৃষ্ট ও ন্যাক্কারজনক। এহেন বক্তব্যের প্রতি ঘৃণার সাথে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রাখলাম।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেল আয়োজিত টকশোতে অংশ নিয়ে বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক এমপি নিলুফার চৌধুরী মনি দাবি করেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে তারাই হত্যা করেছে।
নিলুফার চৌধুরী মনি বলেন, বর্তমান সরকার আসার পর মানুষ বলতো এটি একটি এনজিওগ্রাম সরকার। এখন সেটা রূপান্তরিত হয়ে হয়েছে আন্তঃজামায়াত অন্তর্বর্তী সরকার। কারণ এই সরকার জামায়াত দ্বারা পরিবেষ্টিত সরকার, সেটাই আমি বলার চেষ্টা করছি।
জামায়াতের চাঁদাবাজি হেলমেট পরিহিত ওই শিবিরের মতো। আমরা ছাত্রলীগকে হেলমেট বাহিনী বলতাম। আসলে ছাত্রলীগ ওইরকম ছিল না। আসলে তারা ছিল শিবির, নিজেদের গোপন রেখে এ কাজগুলো করেছে।
আমি যদি একটা প্রমাণ দেই, আবরার যে মারা গেল, তাকে মেরে ফেললো যারা তাদের আসামিদের উকিল কারা। তিনি হচ্ছেন শিশির মনির। আপনি বুঝেন, আসামিদের উকিল। তাহলে বুঝেন তাকে মারছে কারা। এখান থেকে বুঝায় যে আসামিদের উকিল হওয়াটা চাট্টিখানি কথা না। আবরারকে মারছে কে? এই হেলমেট বাহিনী, শিবির বাহিনীরা।