মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে ১৪৪ ধারা জারি, ‘ন্যক্কারজনক’ বললেন কাদের সিদ্দিকী

কাদের সিদ্দিকী
কাদের সিদ্দিকী  © ফাইল ছবি

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, “আমি অবাক হয়েছি, মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সমাবেশে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়। এটা তো এক রেকর্ড হয়ে রইল। মুক্তিযোদ্ধারা একত্র হবেন, তাঁদের সভা বন্ধ করে দেওয়া হলো ১৪৪ ধারা জারি করে। এটা খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা।”

আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহরে নিজ বাসভবনের সামনে পূর্বঘোষিত কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের জরুরি সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, “আমার মরার ভয় নেই। আমি চাই দেশের শৃঙ্খলা থাকুক। যেদিন আমরা রাস্তায় নামব, সেদিন লাঠি নয়, বন্দুকও কিছু করতে পারবে না। আমরা খারাপ সময় পার করছি। যে আশা ও ভরসা নিয়ে যৌবনে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, আজ সেই আশা ও ভরসা ধূলিসাৎ হতে চলেছে।”

বাসভবনে হামলার প্রসঙ্গ টেনে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “আমার বাসায় আক্রমণ হয়েছে। যদি এটা সম্ভব হয়, তাহলে এ দেশের সবার বাসায় আক্রমণ করা সম্ভব। কারও নিরাপত্তা নেই।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমার জ্বলন ওইখানে—যাঁরা ২৪-এ বিজয়ী হয়েছেন, তাঁরা যদি এভাবে ব্যর্থ হন, ভবিষ্যতে যদি কেউ স্বৈরাচার হন, সাধারণ মানুষ তাঁদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে না। এটা আমার ভয়। সে জন্য তাঁদের সফল হওয়া উচিত ছিল। আমার বাড়ি ধ্বংস করে দেশে যদি শান্তি আসে, আমি তাতেই রাজি। এখন আমার বয়স ৮০ বছর। চাইলে এখনই চলে যেতে পারব, তাতেই খুশি হব।”

কাদের সিদ্দিকীর বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধারা বিকেলে মিছিল করার প্রস্তুতি নিলেও পুলিশের উপস্থিতির কারণে তা স্থগিত করেন। পুলিশের প্রতি সম্মান দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা বাড়ির নিচতলায় সমাবেশ করেন।

এই সমাবেশে কাদের সিদ্দিকী ছাড়াও যুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙ্গাল, বীর প্রতীক ফজলুল হক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সখীপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীব, বাসাইল উপজেলা শাখার সভাপতি রাহাত হাসান টিপু প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এর আগে রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বাসাইল উপজেলায় কাদেরিয়া বাহিনী ও ছাত্রসমাজের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ঘিরে উপজেলা প্রশাসন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। দিনভর প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তৎপর ছিল। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কাদেরিয়া বাহিনী কিংবা ছাত্রসমাজ—কেউই নির্ধারিত শহীদ মিনার চত্বরে যাননি।


সর্বশেষ সংবাদ