ডাকসু নির্বাচনে শিক্ষার্থীবান্ধব প্রার্থীর জয় কামনা করলেন তারেক রহমানের উপদেষ্টা

ড. মাহদী আমিন
ড. মাহদী আমিন  © সংগৃহীত

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন ডাকসু নির্বাচনে শিক্ষার্থীবান্ধব প্রার্থীদের জয় কামনা করেছেন। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) তিনি তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এ শুভেচ্ছা জানান।

স্ট্যাটাসে ড. মাহদী আমিন লেখেন, “ডাকসু নির্বাচনে সকল প্যানেলের জন্য রইলো শুভ কামনা। বিজয়ী হোক সেই শিক্ষার্থীবান্ধব প্রার্থীরা, যাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে থাকা, ক্যাম্পাসকে আগলে রাখা। তারাই জিতুক, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ধারক, যারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় গত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে ত্যাগ স্বীকার করেছে, এবং সংগ্রামী ছাত্রজীবনে নিজস্ব পরিচয়ে রাজনীতি করে এসেছে।”

তিনি আরও লিখেছেন, “ডাকসু হয়ে উঠুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন এবং বাংলাদেশপন্থী রাজনীতির সূতিকাগার। গড়ে উঠুক এমন এক বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে থাকবে না গেস্টরুম-গণরুম কালচার; নিশ্চিত হবে নারীদের সুরক্ষা ও ক্ষমতা; আর সমাধান হবে খাদ্য, আবাসন, পরিবহন ও কর্মসংস্থানসহ বহুমুখী সমস্যা।”

ড. মাহদী আমিন তাঁর স্ট্যাটাসে নির্দিষ্ট কোনো প্যানেলের কথা উল্লেখ করেননি, কোনো প্রার্থীর নামও উল্লেখ করেননি। তবে এর আগে  এক পোস্টে তিনি সরাসরি ছাত্রদলের প্যানেলের প্রতি আকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছেন, জানিয়েছেন তাঁর শুভকামনা।

২০ আগস্ট এক পোস্টে ছাত্রদলের প্যানেল নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন ড. মাহদী আমিন। তিনি লিখেছেন, “জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান থেকে শুরু করে গত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সবচেয়ে অগ্রণী, ত্যাগী ও সাহসী ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। গুম-খুন, হামলা-মামলা, আহত কিংবা গ্রেফতার—কেন্দ্র থেকে ক্যাম্পাস, মহানগর থেকে তৃণমূল—যেখানেই গণতন্ত্রের লড়াই হয়েছে, সেখানেই সামনের সারির প্রধান যোদ্ধা ছিল ছাত্রদল। এ সত্যের প্রমাণ মিলেছে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে প্রতিটি কর্মীর সংগ্রামী গল্প, রক্তাক্ত স্মৃতি এবং অজস্র ছবি-ভিডিওতে, যা আজ ইতিহাসের অমূল্য দলিল।

ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থিতার ক্ষেত্রেও সেই সংগ্রামী ও গৌরবময় ইতিহাসের প্রতিফলন ঘটেছে। ভিপি পদে মনোনয়ন পেয়েছেন গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির অন্যতম পোস্টার বয় আবিদুল ইসলাম খান। তাঁর প্রতিরোধে একাধিকবার কেঁপে উঠেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ; তাঁর স্লোগানে অনুপ্রাণিত হয়ে হাজারো তরুণ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে।

জিএস পদে মনোনয়ন পাওয়া শেখ তানভীর বারী হামিম রাজপথে প্রতিটি আন্দোলনে রক্তাক্ত নেতৃত্ব দিয়েছেন, দাঁড়িয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে। তিনি আলোড়ন তুলেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কমল মেডিএইড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তানভীর আল হাদী মায়েদ, একজন সৃজনশীল ও সংগ্রামী ছাত্রনেতা, যিনি অবিরাম ছাত্রলীগকে প্রতিহত করেছেন ক্যাম্পাসে এবং গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে লড়েছেন।

ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে আবিদ, হামিম ও মায়েদের প্রার্থিতা আজ লক্ষ তরুণের আকাঙ্ক্ষা, সাহস ও প্রত্যয়ের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে।

ছাত্রদলের ইনক্লুসিভ ও ডাইভার্স এই প্যানেল থেকে ডাকসুর বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাজপথের সেই দুর্জয় সৈনিকেরা, যাদের রক্ত, শ্রম ও সংকল্পে স্বৈরশাসনের পতন ঘটেছে। সাংগঠনিক মূল নেতৃত্বের বাইরের এই মেধাবী ও সংগ্রামী প্যানেল প্রথাগত অংশগ্রহণ নয়—বরং বছরের পর বছর প্রতিকূল পরিবেশে গড়ে ওঠা তেজদীপ্ত তারুণ্যের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার প্রতীক।”

 


সর্বশেষ সংবাদ