মহানবীর (সা.) শিক্ষা ও আদর্শ সবার জীবনে প্রতিফলন ঘটুক, দোয়া তারেক রহমানের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৫ AM , আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫১ AM
মানুষ রাসুলের (সা.) দেখানো পথে ন্যায় ও সৎ পথে চলার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত লাভ করে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘ঈদে মিলাদুন্নবী, এ দিনটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর দুনিয়াতে আগমণের আনন্দ ও তার জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়। যিনি মানবজাতিকে পরিশোধন করেন এবং তাদের সর্বশেষ্ঠ গ্রন্থ কোরআন ও কাজের কথা শিক্ষা দেন। পৃথিবীতে সৃষ্টির সেরা মানব বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এঁর আগমণ দিবস মর্যাদাবান, গুরুত্ববহ এবং আনন্দের। মহানবী (সা.) এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি, সে দোয়া করেন তিনি।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক বার্তায় এসব কথা বলেছেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, আল্লাহর প্রতি ঈমান ও মানবতার পথপ্রদর্শনকারী মহানবীর ধরাপৃষ্ঠে আবির্ভাবের দিন আজ। তিনি সারা বিশ্বের জন্য রহমতস্বরুপ, আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সবথেকে বড় উপহার বা এহসান। আল্লাহ তা’আলা তাঁকে দিয়েছেন মহিমান্বিত মর্যাদা। পৃথিবীতে মানুষ ইহজগত ও পরজগতের মুক্তির সন্ধান পায় ই দিনে। হযরত মুহম্মদ (সা.) এর আবির্ভাব ছিল একটি আলোকিত বিস্ময়।
মানবজাতি তাঁর আগমণে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সমস্ত অন্যায়-অবিচার, কুসংস্কার, নিপীড়ণ-নির্যাতন এবং বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিস্কৃতি লাভের সন্ধান পায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেজন্যই তিনি হয়েছেন মানবতার মুক্তির দিশারী। মানুষ ন্যায় ও সৎ পথে চলার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত লাভ করে রাসুলের (সা.) দেখানো পথে। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য্য, সৃৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ যন্ত্রণা ভোগ করে তিনি তাঁর ওপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বাণী তথা তওহীদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর থাকবে কিনা, সিদ্ধান্ত নিতে নতুন চিন্তা ঐকমত্য কমিশনের
তারেক রহমান বলেন, অন্ধকারের যুগ তথা আইয়ামে জাহেলিয়াতের আমলে আইন, বিচার ও প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যভিচার-অনাচারের অরাজকতা বিরাজমান ছিল। এ সময় যার আগমণ হয়েছিল তিনি হলেন রহমাতুল্লিল আলামীন। তিনি আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দূরীভূত করে ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে সত্য, ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দু:খী মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শণ, পরমতসহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমা গুন, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.) এর আদর্শ অতুলনীয় এবং তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে স্বীকৃত।
তিনি আরও বলেন, আমি আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের নিকট প্রার্থনা করি মহানবী (সা.) এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি। আমি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাই-বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরছালিন হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর জন্য অসংখ্য দরুদ ও তার প্রতি সালাম জানাই। আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।