মুক্তিযুদ্ধ বিষয় এলেই কিছু লোকের গায়ে জ্বালা ধরে: আনু মুহাম্মদ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৭:১৩ PM , আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২৫, ০৪:৪২ PM
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) মহান মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধান নিয়ে আয়োজিত একটি সেমিনার মব সন্ত্রাসের মুখে ভণ্ডুল হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকালে ডিআরইউ’র শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি সংগঠন এ সেমিনারের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সংবিধান বিশেষজ্ঞ, আইনবিদ, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে হঠাৎ করেই ‘জুলাই যোদ্ধা’ ব্যানারে আল আমিন রাসেলের নেতৃত্বে কিছু শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা অনুষ্ঠানস্থল ঘেরাও করে। তারা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ উপস্থিত অতিথিদের প্রবেশে বাধা দেন এবং অনুষ্ঠান পণ্ড করতে স্লোগান, গালিগালাজ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।
পরে স্থানীয় যুবদল ও বিএনপি নেতা-কর্মীরাও বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে যোগ দেন। একপর্যায়ে মব সন্ত্রাসের মাধ্যমে গোটা আয়োজন ভণ্ডুল হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুষ্ঠানে উপস্থিত কয়েকজন অতিথিকে শারীরিকভাবে হেনস্তাও করা হয়।
ঘটনার কিছুক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও তারা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বরং কয়েকজন অতিথিকে আটক করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আনু মুহাম্মদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি জানান, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয় এলেই কিছু লোকের গায়ে জ্বালা ধরে।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, “আবার! একটি সাধারণ আলোচনা সভাতেও মব সন্ত্রাস! দেখা যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয় এলেই কিছু লোকের গায়ে জ্বালা ধরে। আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত লতিফ সিদ্দিকী, বিএনপি থেকে সাময়িক বরখাস্ত ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে মব সন্ত্রাস তাদের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ের কারণেই। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকও আক্রান্ত হয়েছেন এই আলোচনা সভায় যোগ দেবার অপরাধে। আপনাদের ভিন্ন মত থাকলে একটার বিপরীতে দশটা আলোচনা সভা করেন। না, তা করবে না, কারণ ফ্যাসিবাদী ভাব এই পথে যায় না।”
তিনি আরও লিখেন, “লাঠিয়াল বাহিনীর পরিচয় সরকারের অজানা থাকার কথা নয়, বহু সন্ত্রাসী ঘটনারই ভিডিও আছে, সন্ত্রাসীদের চেনা খুবই সহজ। কিন্তু সরকারের কোনো উদ্যোগ নাই। উল্টো সরকারের পুলিশ মব সন্ত্রাসীদের নয়, মামলা অভিযোগ ছাড়াই ধরে নিয়ে যাচ্ছে আক্রান্তদের। আসলে সরকারের মদদ ছাড়া একের পর এক এগুলো অব্যাহত থাকতে পারে না।”