ডেফিনেটলি আমি দুঃখিত: রুমিন ফারহানা

রুমিন ফারহানা
রুমিন ফারহানা  © সংগৃহীত

দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। নিজের বক্তব্য, ব্যবহার ও শব্দ চয়নে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে সেজন্য স্যরি বলেন এই নেত্রী। বুধবার বেসরকারি টেলিভিশন গ্লোবাল টিভির টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, আমার কথায়, আমার অযৌক্তিক কোনো ব্যবহারে, অযৌক্তিক কোনো শব্দ চয়নে যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন ডেফিনেটলি আমি দুঃখিত। 

রুমিন ফারহানা বলেন, আমার অযৌক্তিক কথায়, অযৌক্তিক ব্যবহারে, অযৌক্তিক কোনো শব্দ চয়নে যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, তাহলে ডেফিনেটলি আমি দুঃখিত। তিনি বলেন, আমি যদি নিজেকে আরো নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম, আরো ভালো হতো ৷ কিন্তু দিনশেষে তো আমি একজন মানুষ। একজন মানুষের ধৈর্যেরও একটা সীমা থাকে। বহুদিন ধরে কেউ যদি ট্রলড হতেই থাকে, একটা সময় মনে হয় জবাব দেই। সেটা না হলেই ভালো।

তিনি আরও বলেন, ‘পলিটিশিয়ানদের লাইফ একেবারেই স্মুথ না, নারী পলিটিশিয়ানদের লাইফ আরও স্মুথ না, আর ভোকাল নারী পলিটিশয়ানদের লাইফ একেবারেই স্মুথ না। সবমিলিয়ে বিবেচনা করলে মনে হয়, আমি তো ভালোই আছি।’

গত কয়েকদিন ধরেই বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর মধ্যে কথার লড়াই চলছে। এনসিপি নেতার ‘আওয়ামী লীগ বিষয়ক সম্পাদক’ বলার পর সর্বশেষ হাসনাতকে নিয়ে আপত্তিকর একটি মন্তব্য করেন রুমিন ফারহানা। এর কারণও ব্যাখ্যা করেছেন বিএনপির এ নেত্রী। যদিও এর জবাবে হাসনাত আব্দুল্লাহ কোনো মন্তব্য করেননি।

বিষয়টি নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘ব্যাপারটা কি, এটা একটা মাইন্ডসেট। এটার মানে এই নয় যে, আপনি গরিব, এটা না। এর মানে হলো, আপনার চিন্তা-ভাবনার মধ্যে এখনও খুব নিম্নস্তরের কিছু ব্যাপার কাজ করে।’ তিনি বলেন, ‘আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, হুমায়রা নূর নামে একজন নারী নেত্রী, ওদের যুগ্ম সদস্য সচিব, তিনি কি ধরনের ভাষা করেছেন। ওই ধরনের ভাষা স্ল্যাম এরিয়াতে ব্যবহার হয়। খুব রেগুলার বেসিসে হয়।’

বিএনপির এ নেত্রীর ভাষ্য, ‘ওরা যেই ভাষায় পলিটিক্সটা করে, ওরা যেই ভাষায় স্লোগান দেয়, ওরা যেই ভাষায় প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করে, ওরা যেই ভাষায় প্রতিদ্বন্দ্বীকে ফ্রেম করে, সেটা বস্তির ভাষার সঙ্গে খুব ভালো মেলে। উনি যে আমাকে আওয়ামী লীগের সম্পাদক বললেন, ফকিন্নির বাচ্চা বলেছি, এর নিচে যে ছবিগুলো শেয়ার করেছি সেগুলো দেখেছেন, ওগুলো কি ইন্ডিকেট করে? কে ছিল আওয়ামী লীগের সম্পাদক?’ ‘এখন ঢিলটি মারলে পাটকেলটি আপনাদের খেতে হবে। এটলিস্ট সো ফার আই অ্যাম কনসার্নসড’, যোগ করেন বিএনপির দলীয় সাবেক এমপি রুমিন ফারহানা।

প্রসঙ্গত, রুমিন ফারহানা বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ, আইনজীবী। সংরক্ষিত নারী আসন-৫০ থেকে নির্বাচিত একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের এই সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের বাবা অলি আহাদ বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী ভাষা সৈনিক; একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক তিনি। মূলত বাবার হাত ধরেই রাজনীতিতে আসেন বলিষ্ঠ এ রাজনীতিবিদ।

 


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!