যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫ জনকে বহিষ্কার

প্রকাশ্যে পাথর মেরে হত্যা

যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের লোগো
যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের লোগো  © টিডিসি সম্পাদিত

পুরান ঢাকায় প্রকাশ্যে পাথর মেরে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যাকাণ্ডে উত্তাল সারাদেশ। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫ জনকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এই তথ্য জানায়।

তারা হলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক জলবায়ুবিষয়ক সহসম্পাদক রজ্জব আলী (পিন্টু) ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম (লাকি), চকবাজার থানা ছাত্রদলের সদস্যসচিব অপু দাস ও মাহমুদুল হাসান মাহিন। এছাড়াও রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কালু ওরফে স্বেচ্ছাসেবক কালু।

যুবদল কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেছেন, বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়দায়িত্ব সংগঠন নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বহিষ্কৃত নেতাদের সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত নেতা অপু দাসের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ এবং অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এছাড়া মাহমুদুল হাসান মাহিন ২০১৮ সালের পূর্বে ছাত্রদলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে জড়িত থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে কোন সাংগঠনিক কার্যক্রমে জড়িত নেই। মাহিনকে প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ওসমান গনি কর্তৃক গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ ঘটনায় কালুর প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী এবং সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন। বিবৃতিতে তার কোনো ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নিবে না বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া দলের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ না রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) জনসমক্ষে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে বুক ও মাথা থেঁতলে দিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে হত্যাকাণ্ডে যাদের দেখা যায়, তাদের মধ্যে বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী শনাক্ত হয়েছে। ফলে এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিএনপির ব্যাপক সমালোচনা চলছে। অনেকে এ ঘটনাকে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সময়ের ঘটনাগুলোর সঙ্গে তুলনা করছেন।

প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব এবং পূর্বশত্রুতার জেরে ব্যবসায়ী যুবক সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে পুরান ঢাকার কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!