কলেজ কমিটির নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ২০
- পাবনা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৫, ১১:৫৬ PM , আপডেট: ১৬ মে ২০২৫, ০১:১০ PM

পাবনায় একটি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া, এ সময় উভয় দলের কার্যালয় এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত আটঘরিয়া উপজেলায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুজ্জামান সরকার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য নির্বাচনের তফসিল কলেজ কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে। মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন ছিল আজ। দুপুরে আটঘরিয়া উপজেলা বিএনপির সমর্থিত তিনজন অভিভাবক মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। কিছু সময় পর জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন নেতাকর্মী এসে তাদের একজন প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়নপত্র চাইলে বিএনপির পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বিষয়টি জানাজানি জলে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির এবং তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেবোত্তর বাজারে জড়ো হন। একপর্যায়ে তারা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালান।
অন্যদিকে, বিএনপির নেতাকর্মীরা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে হামলা চালান। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির আমিরুল ইসলাম জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ বিএনপির লোকজনের কথা মত মনোনয়নপত্র দেয়নি। পরে তারা শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও জামায়াত নেতাদের কলেজের ভেতরেই মারপিট করেন। এর প্রতিবাদে অভিভাবকরা ইউএনওর কাছে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
তিনি আরও জানান, তখন আজান হওয়ায় মসজিদে আসরের নামাজের পড়তে যান তারা। বিএনপির লোকজন মসজিদ লক্ষ্য করে গুলি ও হাত বোমা ছুড়লে নামাজ শেষে লোকজন প্রতিবাদ মিছিল বের করে। এসময় বিএনপির লোকজন আবারও হামলা চালায়।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন আলম বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করতেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে জামায়াতের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমাদের ১৫ জনের মত লোক আহত হয়েছেন। তারা আমার বিএনপি অফিস ভাঙচুর করেছেন। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুজ্জামান সরকার জানান, দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র জামায়াতের লোকজন প্রথমে বিএনপির নেতাকর্মীদের মারধর করেন। এ নিয়ে শুরু হয় দু’পক্ষের সংঘর্ষ। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।