বন্ধুকে ছাত্রলীগ বানিয়ে পুলিশ ডেকে আটকের পর ‘হবু স্ত্রীকে ধর্ষণ’, ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪২ AM , আপডেট: ২৩ জুন ২০২৫, ০৪:৩৯ PM
নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় বন্ধুকে ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে পুলিশ ডেকে আটকানোর পর রিসোর্টের কক্ষে ঢুকে তার ‘হবু স্ত্রীকে’ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪)–কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং উপজেলার চণ্ডিগড় গ্রামের বাসিন্দা।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে দুর্গাপুর পৌরশহরের বিরিশিরি এলাকা থেকে আটক করা হয় তাকে। এ ঘটনার পরপর ওই নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, নেত্রকোণা শহরের ওই ছাত্রী রাজধানীর একটি কলেজে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে জেলার কলমাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা ও জেলা শহরের একটি কলেজের একই শ্রেণি ও বর্ষের এক শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি উভয়ের পরিবারের সিদ্ধান্তে তাদের বিয়ে ঠিক হয়।
ওসি বলেন, সোমবার হবু স্বামীর সঙ্গে মেয়েটি দুর্গাপুরে বেড়াতে আসেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে হবু স্ত্রীকে রিসোর্টের রেখে খাবার কিনতে যান ছেলেটি। তখন ছাত্রদল নেতা দুর্জয় পুলিশকে ফোন করে বলেন, তার বন্ধু ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পুলিশ যেন দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে পুলিশ ওই ছাত্রকে আটক করে। আটক হওয়ার পর তিনি পুলিশকে বলেন, তার হবু স্ত্রী রিসোর্টের কক্ষে খাবারের জন্য অপেক্ষা করছেন। পুলিশ তাকে নিয়ে রিসোর্টের কক্ষে গেলে দরজা বন্ধ অবস্থায় ছাত্রীর চিৎকার শুনতে পায়। উদ্ধারের পর মেয়েটি অভিযোগ করেন, দুর্জয় তাকে ‘ধর্ষণ’ করেছেন।
পুরো ঘটনাটি বড়জোর আধার ঘণ্টার মধ্যে ঘটেছে তুলে ধরে ওসি বলেন, ছাত্রীটি বাদী হয়ে ওই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। এ মামলায় ফয়সাল আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এছাড়া মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য নেত্রকোণা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।