১৮ বছরেও হয়নি হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২১, ১০:৩৩ AM , আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২১, ১০:৩৩ AM
প্রথাবিরোধী লেখক, সমালোচক, গল্পকার, রাজনৈতিক ভাষ্যকর অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে বইমেলা থেকে ফেরার পথে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসীরা। বিদেশে উন্নত চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর ওই বছরেরই ১২ আগস্ট জার্মানিতে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের হয়। পরে তা হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়। একই ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনেও একটি মামলা হয়। ঘটনার পর ১৭ বছর শেষ হয়ে ১৮ বছরে পা দিল। কিন্তু এখনও মামলা দুটির রায় হয়নি।
তবে মামলার বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরাও আংশিক যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে আগেই। করোনার কারণে আদালতের স্বাভাবিক বিচারকাজ বন্ধ ছিল। আবার নতুন করে বিচারকাজ শুরু হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলা একাডেমির উল্টো দিকের ফুটপাতে সন্ত্রাসী হামলায় মারাত্মক আহত হন লেখক হুমায়ুন আজাদ। হামলার পর তিনি ২২ দিন সিএমএইচে এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসা নেন। ওই বছরের ১২ আগস্ট তিনি জার্মানির মিউনিখে মারা যান।
ঘটনার পরদিন (২৮ ফেব্রুয়ারি) লেখকের ছোট ভাই মঞ্জুর কবির বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। ২০০৭ সালের ১১ নভেম্বর হত্যা মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আবুল আব্বাস ভূইয়া ও গোলাম মোস্তফা নামের ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিট থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শাউন, আনোয়ার আলম, হাফিজ মাহমুদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। আসামিদের মধ্যে সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু পলাতক এবং হাফিজ মাহমুদ মারা গেছেন।
হুমায়ুন আজাদ ১৯৪৭ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ধর্ম, মৌলবাদ, নারীবাদ, রাজনৈতিক সমালোচনামূলক বক্তব্যের জন্য ১৯৮০’র দশক থেকে পাঠকদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলেন তিনি।