বঙ্গবন্ধু ও আকবরের মতাদর্শ বিশ্বে এখনও গুরুত্বপূর্ণ: অমর্ত্য সেন

  © সংগৃহীত

সমাজে সমতা প্রতিষ্ঠা এবং ধর্মকে রাজনীতির বাইরে রাখার ক্ষেত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে মতাদর্শ, তা এখনও সারা পৃথিবীর জন্য প্রাসঙ্গিক বলে মন্তব্য করেছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেন।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের সাউথ এশিয়া সেন্টার আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

অমর্ত্য সেন বলেন, ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার না করার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর শক্তিশালী স্বতন্ত্র যে ধরন ছিল, বর্তমান সময়ে তার বিস্তৃত ব্যবহার রয়েছে। যা কেবল বাংলার জন্য নয়, সারা পৃথিবীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

বঙ্গবন্ধুর ধর্মীয় স্বাধীনতার ধারণার সঙ্গে সম্রাট আকবরের মতাদর্শের মিল থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও আকবরের মতাদর্শ এখনও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটা কেবল ভারতে ব্যবহৃত হতে পারে তা নয়, পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও প্রাসঙ্গিক। ইউরোপ-আমেরিকার রাজনৈতিক আলোচনায় তাদের ধারণার ব্যবহার হতে পারে। এটা হয়ত কেবল ধর্মীয় দিক থেকে নয়, বর্ণবাদ ও নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর অধিকারের আলোচনায়ও আসতে পারে।

বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান প্রণয়নে সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাকে বিশেষভাবে উপস্থাপনের প্রসঙ্গ বক্তৃতায় তুলে ধরেন তিনি।

অমর্ত্য সেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর সেকুলারিজম ধারণার মানে মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা থাকবে না, এমন নয়। সেটা ছিল ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার হবে না। সংবিধান প্রণয়নের সময় বলা হয়েছিল, এটা এমন নয় আমরা ধর্মপালন বন্ধ করব। মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সবাই তার ধর্ম পালন করবে। কেবল ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার বন্ধ থাকবে।

বঙ্গবন্ধুকে ‘বিশ্ববন্ধু’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তার মতাদর্শ থেকে শেখা ও অনুসরণের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।

লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের পরিচালক অধ্যাপক মিনোশ শফিকের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক রেহমান সোবহান, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের সাউথ এশিয়া সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক আল নূর ভিমানি এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম বক্তব্য দেন।


সর্বশেষ সংবাদ