আমার জীবনের আইডল ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী: আসিফ নজরুল

  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি আসিফ নজরুল বলেছেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আমার জীবনের আইডল। আমরা যারা জীবিত আছি, আমাদের বহু জীবিত মানুষের চেয়ে অনেক তীব্র ও উজ্জ্বলভাবে তিনি বেঁচে আছেন। আজ সোমবার (২৯ মে) গণ বিশ্ববিদ্যায়ে এক স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন। 

আসিফ নজরুল বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সারাজীবন অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। যিনি সারা জীবন অসংখ্য প্রতিষ্ঠান তৈরি করে গেছেন। তার সবচেয়ে বড় চেতনা ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে কোন বৈষম্য থাকবে না। বহু অপবাদ সহ্য করেছেন, বহু বর্বরতা সহ্য করেছেন। ইয়াংপলেটিশিয়ানরা ও তাকে আইডল মানতেন। তার ছিল অগাধ আত্মসম্মান যিনি নিজ আদর্শ বজায় রাখতে জীবনের শেষ চিকিৎসা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়েছেন।

এসময় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি ফরিদা আখতার বলেন, অনেকে বলেন জাফর ভাই দেশপ্রেমিক ছিলেন। আমি বলব উনি দেশের মানুষ প্রেমিক ছিলেন। যার যার অবস্থান থেকে আমাদের প্রত্যেকের একেকজন জাফরুল্লাহ হতে হবে। আজ আমি অঙ্গীকার করছি, জাফর ভাইয়ের কাছ থেকে যতটা শিখেছি, যতটা সান্নিধ্যে থেকেছি স্বাস্থ্য খাতে কাজের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা করে যাব।

জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে অতুলনীয়, এক এবং অনন্য দাবি করে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টের সভাপতি এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, তার মৃত্যু দেশ ও জাতীর জন্য অপূরনীয় ক্ষতি। তিনি ছিলেন বিপ্লবী, সমাজ বিপ্লবের যে চেতনা সেটাই তার মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এবং পরবর্তী সময়ের যুদ্ধে অবলোকন করা যায়। তিনি চাইলেই অনায়েসে দেশের সেরা ধনীদের এখন হতেই পারতেন, কিন্তু তিনি ব্যাক্তি মালিকানায় বিশ্বাস করেন না। যার প্রমান দেখা যায়, তার গড়া কোনও প্রতিষ্ঠানই  তার পরিবার বা নিজস্ব মালিকানার অন্তর্ভুক্ত নয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আবুল হোসেন বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন সাদামাটা একজন মানুষ। আমাদের জন্য তিনি একজন দৃষ্টান্ত,তাকে ধারণ করতে পারাটাই আমাদের এবং শিক্ষার্থীদের সবার জন্য সফলতার কারণ হবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই সকলে এক মিনিট দাড়িয়ে নিরবতা পালন করেন। তারপর ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মরণে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এসময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, তৃতীয় লিঙ্গের কর্মচারীরা এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।


সর্বশেষ সংবাদ