আয়নাঘর দাবি করে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ভুয়া
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৩৩ PM , আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৪১ PM
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) ‘আয়নাঘরের’ বন্দিদের মুক্তি দেওয়া শুরু করেছে। মুক্তি দেওয়ার পর থেকে আয়নাঘরের বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। এরকম ১৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে একটি রুমে অনেক মানুষের হাড়-মাথার খুলি দেখা যায়। যদিও ভাইরাল ভিডিওটি আয়নাঘরের নয় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নিজাম উদ্দিন নামে একজন ফেসবুক ব্যাবহারকারী ‘আয়না ঘরে চিত্র’ নামে একটি ১৪ সেকেন্ডের ভিডিও ছাড়ে। যেটি আসলে আয়নাঘরের ছবি নয়। এটি ১৮০০ শতাব্দির ফ্রান্সের ‘ক্যাটাকম্বস অব প্যারিস’ এর ভিডিও। ভিডিও দেখুন এখানে।
শাহাদাত হোসাইন নামে একজন ফেসবুকে ‘দেখুন আয়নাঘর’ নামে একটা ভিডিও ছাড়ে। যেটি আসলে আয়নাঘরের ছবি নয়। ভিডিও দেখুন এখানে।
বাংলা আলো (bangla alo) নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে ‘দেখুন আয়নাঘর’ একটি ভিডিও ছাড়া হয়। যেটি আসলে আয়নাঘরের ভিডিও নয়। ভিডিও দেখুন এখানে।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির বাংলাদেশের ফ্যাক্ট-চেকবিষয়ক সম্পাদক কদরুদ্দিন শিশির তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট থেকে বলেন, এটা আয়নাঘরের ভিডিও না। এটি ১৮০০ শতাব্দির ফ্রান্সের ‘ক্যাটাকম্বস অব প্যারিস’ এর ভিডিও। এই স্থানটিতে ৬০ লাখের মতো মানুষের হাড় ও খুলি রয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) ‘আয়নাঘরের বন্দিদের’ সবাইকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান সাবেক সেনা কর্মকর্তারা। তারা গণমাধ্যমকে বলেন, ডিজিএফআইয়ের আয়নাঘরে অনেক মানুষকে অন্যায়ভাবে বন্দী করে রাখা হয়েছে। বন্দীদের ছাড়িয়ে নিতে আমরা অবস্থান নিয়েছি। তাদের অক্ষত অবস্থায় হস্তান্তর না করা পর্যন্ত আমরা ফিরব না। বন্দীদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান চলবে। আমাদের সঙ্গে গুম হওয়া স্বজনদের সংগঠন মায়ের ডাকও যোগ দিয়েছে।
এরপর জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আজমের মেজো ছেলে সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর ছোট ছেলে মীর আহমাদ বিন কাসেম (আরমান) আয়নাঘর থেকে মুক্ত হন।
আজ বুধবার পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমা আয়নাঘর থেকে মুক্ত করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।