মিসরে গির্জায় আগুন, নিহত ৪১
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২২, ০৯:০২ PM , আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২২, ০৯:০২ PM
নীল নদের পশ্চিম তীরে অবস্থিত মিসরের গিজা শহরের একটি গির্জায় অগ্নিকাণ্ড ও পদদলনের ঘটনায় অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এতে আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন। প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা।
গির্জাটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আবু শিফিন নামের ওই গির্জার অবস্থান কায়রোর উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলের জেলা ইমাবায়। সেখানে শ্রমিক শ্রেণির মানুষের বাস সবচেয়ে বেশি। গির্জায় আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি।
দেশটির নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলেছে, ইমবাবার কপটিক আবু সিফিন গির্জায় প্রায় ৫ হাজার মানুষ উপাসনার জন্য সমবেত হয়েছিলেন। সেই সময় গির্জার ভেতরে বৈদ্যুতিক আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডে গির্জার একটি প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেখানে পদদলনের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: খাইরুন নাহারকে ‘ব্রেন টর্চার’ করে মারা হয়েছে: মামুন
এই ঘটনায় নিহতদের বেশিরভাগই শিশু বলে জানিয়েছেন তারা। মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি আজ সকালে ফেসবুকে লিখেছেন: ‘আমি এই ঘটনা এবং এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা ও আহতদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে কপটিক চার্চের অনুসারী সবচেয়ে বেশি। মিসরের ১০ কোটি ৩০ লাখ মানুষের অন্তত ১ কোটি এই মতাবলম্বী।
মিসরের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতিবছর কপটিক খ্রিষ্টানদের বড়দিনের জনসমাগমে অংশ নিতে দেখা যায় সিসিকে। সম্প্রতি তিনি দেশটির সাংবিধানিক আদালতের প্রধান হিসেবে একজন কপটিক খ্রিষ্টানকে নিয়োগ দিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছেন। এর আগে এই পদে কোনো খ্রিষ্টানকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মিসরে বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালের মার্চে কায়রোর উত্তরে এক শহরতলির একটি পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ২০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। এর আগে ২০২০ সালে দুটি হাসপাতালে আগুন লেগে ১৪ জন করোনা রোগী প্রাণ হারান।