চার হাজারের বেশি গাড়ি নিয়ে সাগরে তলিয়ে গেল জাহাজ

আটলান্টিক সাগরে ডুৃবে যাওয়া জাহাজ ‘দ্য ফেলিসিটি এস’।
আটলান্টিক সাগরে ডুৃবে যাওয়া জাহাজ ‘দ্য ফেলিসিটি এস’।  © সংগৃহীত

প্রায় চার হাজারের বেশি বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে গেছে ‘দ্য ফেলিসিটি এস’ নামের একটি জাহাজ। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) জাহাজটি জার্মানির এমডেন বন্দর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডে যাওয়ার পথে আজোরস দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি ডুবে যায়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আজোরস দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি অবস্থানে গাড়ি বহনকারী জাহাজটিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। জাহাজটিতে আগুন লাগার পর এর সকল ক্রুদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগুন লাগার দুই সপ্তাহ পর আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে গেল জাহাজটি।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনে প্রাণ হারালেন রাশিয়ার শীর্ষ মেজর জেনারেল

পর্তুগালের নৌবাহিনী জানিয়েছে যে আগুনে কেউ আহত হয়নি এবং ২২ জন ক্রুকে একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

দুর্ঘটনাস্থলের নিকটতম বন্দর ফায়েল দ্বীপের ক্যাপ্টেন জোয়াও মেন্ডেস ক্যাবেকাস রয়টার্সকে জানান, এখনও পর্যন্ত কোনো তেলের ট্যাংক ফুটো হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে জাহাজটি আটলান্টিকে থাকাকালীন জ্বালানি ট্যাংকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভক্সওয়াগেন বলেছে গাড়িগুলো ডুবে যাওয়ায় তাদের প্রায় ১৫৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে। এতে বেন্টলির ১৮৯ টি গাড়ি ও পোর্শের ১ হাজার ১ শ’টি গাড়ি ছিল।

আরও পড়ুন: বেসামরিকদের সরাতে নিরাপদ করিডরে সম্মত ইউক্রেন-রাশিয়া

Capture
টুইটারে পোস্ট করা এক ক্রেতার টুইটের স্ক্রিনশট।

এদিকে, এ দুর্ঘটনার পর এসব বিলাসবহুল গাড়ির বহু ক্রেতা টুইটারে জানিয়েছেন তাদের অর্ডারকৃত গাড়ি পানিতে ডুবে ‍যাওয়া পরিত্যক্ত ওই জাহাজে ছিল। পরে ফিরতি আরেকটি টুইটে একই ব্যক্তি জানান, দ্য ফেলিসিটি এস-এ থাকা সব গাড়ির অর্ডার আবার নবায়ন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ভক্সওয়াগেন একটি জার্মান মোটরগাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। তারা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি। ১৯৩৭ সালে জার্মানিতে এ কোম্পানিটি স্থাপিত হয়। এর সদর দপ্তর জামার্নির উল্ফস্‌বুর্গে অবস্থিত। জার্মান ভাষায় ভক্সওয়াগেন (Volkswagen) দ্বারা জনগণের গাড়ি বোঝানো হয়। ভক্সওয়াগেন কোম্পানির বর্তমান স্লোগান “দাস অতো” (দ্য কার)। এ কোম্পানির বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়ির মধ্যে রয়েছে ভক্সওয়াগেন, ক্স্যানিয়া, নিওপ্ল্যান, মান, আউডি, স্কোডা, বেন্টলি, পোর্শ ও ল্যাম্বরগিনি। ভক্সওয়াগেন বর্তমানে বিশ্বের বহু দেশে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৫০টিরও বেশি মডেল তৈরী ও বাজারজাত করে থাকে।


সর্বশেষ সংবাদ