ইউক্রেনে স্কুল ও আবাসিক ভবনে রুশ হামলা, নিহত ৩৩

স্কুল ও আবাসিক ভবনে রুশ হামলা
স্কুল ও আবাসিক ভবনে রুশ হামলা  © সংগৃহীত

রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হামলায় ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় চেরনিহিভ শহরে অন্তত ৩৩ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৮ জন। চেরনিহিভ শহরটি কিয়েভ থেকে ১২০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। সেখানে রুশ বাহিনী উত্তর দিক থেকে আক্রমণ চালাচ্ছে।

শুক্রবার (৪ মার্চ) চেরনিহিভের ডেপুটি মেয়র রেজিনা গুসাকের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে চেরনিহিভের স্কুল এবং একটি বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংসহ আবাসিক এলাকায় হামলা চালায় রুশ বাহিনী।

আরও পড়ুন: রাশিয়ার গোলায় জ্বলছে ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

চেরনিহিভ অঞ্চলের গভর্নর ব্যাচেস্লাভ চাউস টেলিগ্রামে বলেন, ব্যাচেস্লাভ চাউস টেলিগ্রামে বলেন, চেরনিহিভ শহরের স্টারায়া পোদুসিভকা এলাকায় দুটি স্কুল এবং ব্যক্তিগত বাড়িতে হামলা চালিয়েছে রাশিয়ান যুদ্ধবিমান। উদ্ধারকারীরা ওই এলাকায় কাজ করছে।

এদিকে চেরহিনিভ শহরে রুশ হামলার বেশ কিছু ছবি সামনে এনেছে ইউক্রেন। এসব ছবিতে দেখা যায়,হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ অ্যাপার্টমেন্টগুলো থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী বেরিয়ে আসছে এবং ভবনের ধ্বংসাবশেষ চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এছাড়া হামলায় নিহতদের মরদেহ স্ট্রেচারে করে বহন করতে দেখা যায় উদ্ধারকারীদের।

প্রসঙ্গত, রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে শুক্রবার (৪ মার্চ) নবম দিনের মতো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। এই যুদ্ধে এরই মধ্যে ১০ লাখের বেশি মানুষ দেশটি ছেড়ে পাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় অনেকেই আটকে পড়েছেন। তারা খাদ্য-চিকিৎসা সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: বেসামরিকদের সরাতে নিরাপদ করিডরে সম্মত ইউক্রেন-রাশিয়া

তাই যুদ্ধবিরতির পথ খুঁজতে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় ‘শান্তি আলোচনায়’ বসে ইউক্রেন ও রুশ প্রতিনিধিদল। ওই আলোচনায় কিয়েভ আশানুরূপ ফল পায়নি। যুদ্ধবিরতির বিষয়েও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে ইউক্রেনে যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য বা তাদের কাছে সহায়তা পাঠাতে ‘মানবিক করিডর’ দিতে সম্মত হয়েছে রাশিয়ায়। দুই পক্ষের মধ্যে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা হয় বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।

মানবিক করিডরের বিষয়ে সমঝোতা হওয়ার ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় আটকে থাকা বেসামরিক লোকদের দ্রুত সরিয়ে নিতে পারবে কিয়েভ। একই সঙ্গে তাদের কাছে খাদ্য-চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করতে পারবে। রুশ সেনারা ইউক্রেনের কয়েকটি অঞ্চল ঘিরে ফেলার কারণে কয়েক দিন ধরেই সেই সংকট প্রকট হয়।


সর্বশেষ সংবাদ