সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত নিয়ে যা বলছে জাতিসংঘ

সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি
সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি  © ফাইল ফটো

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর পূর্তিতে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা।

শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের স্পেশাল প্রসিডিউরস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উচ্চ আদালত ২০১২ সালেই র‍্যাবকে এই মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়। গত বছর ২৪ নভেম্বর আদালত ৮৪তম বারের মতো র‍্যাবকে তাদের তদন্তের ফলাফল জমা দিতে বলেন, যা এখনো সম্পন্ন হয়নি।

এতে আরও বলা হয়, গত ১০ বছরে বাংলাদেশে অন্তত ১৫ জন সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। ২০১২ সালে সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের পর জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের পাঠানো চিঠির কোনো জবাব সরকারের কাছ থেকে কখনই পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যার ১০ বছর, ৮৫ বারেও হলো না তদন্ত প্রতিবেদন

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন। তখন বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ। হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন।

প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই)। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আরও পড়ুন: এবার নাটকে অভিনয় করলেন ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম

দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ