বিচ্ছেদের পর গেটস দম্পতির সন্তানেরা কে কত সম্পদ পাবেন

বিল গেটস ও তার স্ত্রী মেলিন্ডা গেটসের তিন সন্তান
বিল গেটস ও তার স্ত্রী মেলিন্ডা গেটসের তিন সন্তান  © ফাইল ছবি

বিল গেটস ও তার স্ত্রী মেলিন্ডা গেটসের বিচ্ছেদের ঘোষণা আসার পর থেকে আলোচনায় উঠে এসেছে তাদের সন্তানেরা। ধনকুবের এই দম্পতির তিন ছেলে–মেয়ে। বড় মেয়ের নাম জেনিফার গেটস ও ছেলে রোরি জন গেটস মেজ, আর ছোট মেয়ে ফিবি অ্যাডেল গেটস।
মা–বাবার বিচ্ছেদের পর সন্তানেরা কী পরিমাণ সম্পদের মালিক হচ্ছেন, তা নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা। তবে মা–বাবা অঢেল সম্পদের মালিক হলেও সন্তানেরা পাচ্ছেন তার খুব সামান্যই। তিন ভাই–বোনের প্রত্যেকই পাবেন এক কোটি মার্কিন ডলার। বিল ও মেলিন্ডার বাকি অর্থ চলে যাবে ট্রাস্টে।

জেনিফার গেটসের বয়স এখন ২৪ বছর। গেটস দম্পতির এই বড় মেয়ে পড়াশোনা করেছেন ওয়াশিংটনের সিয়াটলের লেকসাইড হাইস্কুলে। এরপর ভর্তি হন স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে। পড়েছেন হিউম্যান বায়োলজিতে। জেনিফার ইতিমধ্যে নিজের ক্যারিয়ারের পথে হাঁটতে শুরু করেছেন।

ধনকুবেরের মেয়ে হলেও অনেক সুবিধা যে পেয়েছেন, তা নয়। বয়স ১৪ বছর হওয়ার আগপর্যন্ত তার হাতে ফোন তুলে দেওয়া হয়নি। দক্ষ অশ্বারোহী এই মেয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাইডলাইনস ম্যাগাজিনকে এক সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে তিনি তার বেড়ে ওঠার গল্প তুলে ধরেন। জেনিফার বলেছেন, গেটস ও মেলিন্ডা দম্পতির বড় মেয়ে হওয়া সৌভাগ্যের বিষয়। ছোটবেলা থেকে নানা সুযোগ-সুবিধার মধ্যেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। ২০১৮ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পর নিউইয়র্ক সিটির মেডিকেল স্কুলেও পড়েছেন তিনি। জেনিফার এখন শিশুরোগ নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের চেয়ে মানবসেবায় কাজ করতেই বেশি আগ্রহী জেনিফার। সাইডলাইন ম্যাগাজিনকে বলেছেন, ‘আমি বিশাল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছি। আমি মনে করি, এই সুযোগ ও শেখার বিষয়টি কাজে লাগিয়ে আমার আগ্রহের বিষয়গুলো সন্ধান করব।’

ছেলে রোরির জন্ম ১৯৯৯ সালে। জেনিফারের মতো তিনিও পড়াশোনা করেছেন ওয়াশিংটনের সিয়াটলের লেকসাইড হাইস্কুলে। এরপর ভর্তি হন ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোয়। লিঙ্গসমতা নিয়ে কাজের ব্যাপারে আগ্রহী ছেলে রোরি। এ কথা তার মা মেলিন্ডাই বলেছেন। ‘টাইম’ সাময়িকীতে তিনি লিখেছেন, রোরি ছেলে হিসেবে অসাধারণ। ভাই হিসেবে অতুলনীয়। অনেক কিছুই সে উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছে। ধাঁধা সে খুব পছন্দ করে। তবে রোরির যে বিষয়টি আমাকে গর্বিত করে, তা হলো, সে নারীর অধিকার সম্পর্কে সচেতন।
যদিও রোরির নিজের পরিকল্পনা সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। কারণ, সব সময় গণমাধ্যম এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছেন তিনি।

ছোট মেয়ে ফিবি অ্যাডেল গেটসের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে সম্প্রতি। পড়াশোনা করেছেন নিউইয়র্কের প্রফেশনাল চিলড্রেন স্কুলে। ব্যালে নাচের প্রতি বেশ আগ্রহ তার। ফলে পড়াশোনা করেছেন নিউইয়র্কের দ্য স্কুল অব আমেরিকান ব্যালেতে। এ ছাড়া পড়েছেন দ্য জুলিয়ার্ড স্কুলে। এ ছাড়া দাতব্য কাজের প্রতিও আগ্রহ রয়েছে তার।


সর্বশেষ সংবাদ