ভিক্ষা করে জমানো টাকা করোনা তহবিলে দিলেন বৃদ্ধ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২০, ০৮:৩১ PM , আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২০, ০৮:৪২ PM
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গান্ধীগাঁও গ্রামের ৮০ বছরের বৃদ্ধ মো. নজিমুদ্দিনের বাড়ি । ভিক্ষা করে সংসার চলে তার। ঘর মেরামত করার জন্য ভিক্ষা করে জমিয়েছিলেন ১০ হাজার টাকা। ওই টাকা তিনি দান করে দিয়েছেন করোনায় খাদ্যসহায়তার জন্য খোলা করোনা তহবিলে।
আজ মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদের হাতে টাকাগুলা তুলে দেন নজিমুদ্দিন। ইউএনও বলেন, ‘অনেক মানুষ কর্মহীন রয়েছে। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে করোনা তহবিল খোলা হয়েছে। একজন ভিক্ষুক ভিক্ষা করে জমানো টাকা এই তহবিলে দিয়েছেন। অসহায় মানুষের প্রতি মহানুভবতার এটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ।’
জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ রোধে কর্মহীন দুস্থ-অসহায় মানুষকে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হচ্ছে। রোববার ইউএনও রুবেল মাহমুদের পরামর্শক্রমে অসহায় দরিদ্র মানুষের তালিকা তৈরি করতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দ্য প্যাসিফিক ক্লাবের সদস্য ও ইউপি সদস্যরা গান্ধীগাঁও গ্রামে যান।
এ সময় নজিমুদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে ইউএনওর পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী তাকে দেওয়া হবে জানিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখতে চান তাঁরা। তবে নজিমুদ্দিন তালিকায় তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত না করার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, নিজের ঘর মেরামত করতে ভিক্ষা করে ১০ হাজার টাকা জমিয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে টাকাগুলো অসহায় মানুষকে খাদ্য দেওয়ার জন্য তিনি দান করবেন।
পরে আজ মঙ্গলবার প্যাসিফিক ক্লাবের সদস্যরা ইউএনওর কাছে নজিমুদ্দিনকে নিয়ে যান। তখন ইউএনওর হাতে ১০ হাজার টাকা তুলে দেন তিনি।
নজিমুদ্দিন বলেন, ‘ভিক্ষা কইরা দুই বছরে টাকাগুলো জমাইছি। ঘরডা ভাইঙ্গা গেছে। অহন ঘর-দরজা দিলাম না। মানুষ কষ্ট করতাছে। তাই আমি টাকাগুলো ইউএনও সাহেবের হাতে দিলাম। এগুলো দিয়া কিছু মানুষ খাইয়া বাঁচুক।’