রেড জোনে গাজাগামী সুমুদ ফ্লোটিলা, দূরত্ব মাত্র ১৫০ নটিক্যাল মাইল

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার কিছু জাহাজ
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার কিছু জাহাজ  © সংগৃহীত

গ্লোবাল সমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, তাদের ডজনখানেক জাহাজের বহর এখন ‘উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে’ প্রবেশ করেছে, যা গাজা থেকে ১৫০ নটিক্যাল মাইল (২৭৮ কিলোমিটার) দূরে। এই একই অঞ্চলে আগের ফ্লোটিলাগুলিকে ইসরায়েলি বাহিনী আক্রমণ বা আটক করেছিল।

আজ বুধবার (১ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ তথ্য জানায় তারা।

স্পেন এবং ইতালি থেকে আসা জাহাজগুলো ফ্লোটিলার সঙ্গে রয়েছে আন্তর্জাতিক জলসীমা দিয়ে নিরাপদে চলাচল নিশ্চিত করতে। এদিকে, তুরস্ক থেকে পাঠানো ড্রোন আকাশে ঘোরাফেরা করছে, যাতে সম্ভাব্য কোনো হামলা পর্যবেক্ষণ করা যায়।

নৌকা গাজার কাছাকাছি পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে, সমুদ ফ্লোটিলা লাইভ ভিডিও সম্প্রচার শুরু করেছে—জাহাজে থাকা মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে।

এদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে তারা এই গাজামুখী ফ্লোটিলা থামাবে।

ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কান জানিয়েছে, ফ্লোটিলাটি দখলে নিতে ইসরায়েল নৌবাহিনীর কমান্ডো ও যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী ফ্লোটিলায় থাকা শত শত লোককে বড় একটি নৌযানে তোলা হবে। পরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আশদোদ বন্দর হয়ে ইসরায়েল থেকে বহিষ্কার করা হবে। তবে প্রায় ৫০টি জাহাজকে টেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই কিছু জাহাজকে সাগরে ডুবিয়ে দেওয়া হবে।

ব্রাজিলের মানবাধিকারকর্মী ও সুমুদ স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য থিয়াগো আভিলা অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েলি সামরিক জাহাজ ফ্লোটিলার দুটি জাহাজের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত করেছে।

তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘ইসরায়েলি সামরিক জাহাজ আমাদের নৌকাগুলোর ওপর ভয় দেখিয়েছে। যোগাযোগব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আরও বিপজ্জনক কৌশল চালিয়ে আমাদের প্রধান জাহাজ আলমা ও সিরিয়াস-এর চারপাশে ঘুরেছে।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির ক্ষতি হলেও কেউ আহত হয়নি। আমরা যাত্রা চালিয়ে যাচ্ছি।’

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা বলেছে, তারা ইতিমধ্যে ইসরায়েলি নৌবাহিনীর সঙ্গে ‘প্রথমবারের মতো মুখোমুখি’ হয়েছে। ইসরায়েলি জাহাজ তাদের প্রধান জাহাজের চারপাশে প্রায় ছয় মিনিট ঘোরাফেরা করেছে এবং দূর থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা জ্যাম করে দেয়।


সর্বশেষ সংবাদ