বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল, পার্লামেন্টে ঢুকে পড়েছে ছাত্র-জনতা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৭ PM , আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০৪ PM
সরকারের দুর্নীতি ও ফেসবুকসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে নেপাল। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভে অংশ নেন দেশটির শিক্ষার্থী ও তরুণেরা। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা দেশটির পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করলে পুলিশ জলকামান ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত একজন নিহত ও ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্স জানায়, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে। এসময় তারা গাছের ডাল ও পানির বোতল ছুড়ে পুলিশের দিকে আক্রমণ চালায়। এ সময় তাদেরকে দুর্নীতিবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন কার্যালয় নতুন বাণেশ্বর ও এর আশপাশের এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন বলে সিভিল হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক মোহন চন্দ্র রেগমি নিশ্চিত করেছেন। নিহতের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আহত বহু বিক্ষোভকারী সিভিল হাসপাতাল, এভারেস্ট হাসপাতালসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
নেপালের সংসদের মুখপাত্র ইকরাম গিরি জানান, কিছু বিক্ষোভকারী সংসদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করলেও মূল ভবনে পৌঁছাতে পারেনি। পুলিশ তাদের বের করে দেয় এবং তারা রাস্তায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে।
কাঠমান্ডু জেলা কার্যালয়ের মুখপাত্র মুক্তিরাম রিজাল রয়টার্সকে বলেন, বিক্ষোভকারীরা সহিংস হয়ে উঠলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাত ১০টা (স্থানীয় সময়) পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, পুলিশকে জলকামান, লাঠি এবং রাবার বুলেট ব্যবহারের আদেশ দেওয়া হয়েছে। কারফিউ-এর আওতা বাড়িয়ে কাঠমান্ডুর সিংহ দরবার এলাকাতেও কার্যকর করা হয়েছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাসভবনসহ প্রধান মন্ত্রণালয়গুলোর অফিস রয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি নেতৃত্বাধীন সরকার ফেসবুক, ইউটিউব এবং এক্সসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।