ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে এখন পর্যন্ত শিশুসহ নিহত অন্তত দেড়শ
- নিশাত তাসনিম জেসিকা
- প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ০৮:১৯ PM , আপডেট: ১৬ জুন ২০২৫, ১২:৫৮ PM
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যবর্তী সংঘাতে শিশুসহ অন্তত ১৫০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। গত শুক্রবার (১৩ জুন) রাত থেকে শুরু হওয়া পাল্টাপাল্টি হামলা এখনো চলছে। দুই দেশের মধ্যে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ।
আল জাজিরার দেওয়া তথ্যমতে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ১৩৮ জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, হামলার জবাবে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। হামলার আগেই প্রায় ১০ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যায়।
ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, ইরানের হামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন নিহত ও ৩৫০ জনের বেশি আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশুও রয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির অভিযোগ, ইসরায়েলের হামলার উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার চলমান পারমাণবিক আলোচনা বানচাল করা। এই আলোচনা আজ রবিবার (১৫ জুন) ওমানে শুরু হওয়ার কথা ছিল, যা আপাতত স্থগিত হয়েছে। ইসরায়েল এমন এক সময় ইরানের ওপর হামলা চালিয়েছে, যখন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা ঘোষণা করেছে, ইরান পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে, যদিও ইসরায়েল নিজেই এই চুক্তিতে সই করেনি।
ইরান বলেছে, ইসরায়েল তাদের রাজধানী তেহরানের শহরান তেল ডিপো ও একটি তেল শোধনাগারে হামলা চালিয়েছে। দক্ষিণ পার্স গ্যাসক্ষেত্রে আগুন ধরে যায়, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র। তবে ইরানের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা হুথি বিদ্রোহীদের চিফ অব স্টাফকে নিশানা করেছে। ইয়েমেনের ইরানঘনিষ্ঠ হুথি গোষ্ঠী প্রথমবারের মতো সরাসরি এই সংঘাতে যুক্ত হয়ে তেল আবিবের পাশে জাফা শহরের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
সংঘাতের জেরে মধ্যপ্রাচ্যে তেলের দাম শুক্রবারই বেড়ে গেছে ৯ শতাংশ। ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের অভিযান আরও কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইরানের জনগণকে দেশটির ধর্মীয় শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে নামার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমরা যদি কোনো রকম হামলার শিকার হই, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি এমনভাবে পাল্টা জবাব দেবে যা ইতিহাসে আগে দেখা যায়নি।
তবে তিনি দাবি করেন, এই সংঘাত সহজেই চুক্তির মাধ্যমে থামানো সম্ভব।