বাংলাদেশের ৭ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে বন্ধ, ব্যাখ্যা না পেলে পাল্টা পদক্ষেপ নেবে ঢাকা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ০৫:৩৮ AM , আপডেট: ১০ মে ২০২৫, ০৯:২৮ AM
ভারতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সাতটি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করেছে ইউটিউব। ভারত থেকে বাংলাদেশের এই চ্যানেলগুলোর ইউটিউব চ্যানেল দেখা যাচ্ছে না। শনিবার (১০ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ডিসমিসল্যাব। বন্ধ হওয়া চ্যানেলগুলো হলো—যমুনা, একাত্তর, বাংলাভিশন, মোহনা টেলিভিশন, সময় টিভি, ডিবিসি নিউজ ও এটিএন নিউজ।
এর আগে শুক্রবার (৯ মে) চারটি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করা হয় বলে জানিয়েছিল তথ্যব্যবস্থায় প্রযুক্তির প্রভাব নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান ডিসমিসল্যাব। এরপর শনিবার (১০ মে) নিশ্চিত হওয়া গেছে বাকি তিনটি চ্যানেল বন্ধ হওয়ার বিষয়ে। সময় টিভির ভারতীয় প্রতিনিধি নিশ্চিত করেছেন ভারত থেকে সময় টিভির ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া ই-মেইলের মাধ্যমেও নিশ্চিত হওয়া গেছে বন্ধের বিষয়টি।
ডিসমিসল্যাবের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার কারণে ভারত সরকার দেশটির স্বাধীন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়ার ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইট নিজ দেশে ব্লক করেছে। এ নিয়ে দ্য ওয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে লিখেছে, এটা ভারতের সংবিধানে প্রদত্ত সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এর আগে এক্স (সাবেক টুইটার) জানিয়েছে, ভারত সরকার আট হাজারের বেশি ‘অ্যাকাউন্ট’ ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে, যার মধ্যে স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের অ্যাকাউন্টও রয়েছে।
এদিকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ইউটিউবের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে। যদি সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা না পাওয়া যায়, তাহলে পাল্টা পদক্ষেপ।
গতকাল শুক্রবার রাতে বিষয়টি নিয়ে ফয়েজ আহমদ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের অন্তত ৪টি টিভি স্টেশন জিও ব্লক করেছে ইউটিউব ভারত। ব্রডকাস্ট মিডিয়ামের ভৌগোলিক লোকেশন হিসেবে বাংলাদেশকে ব্লক করায় ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের যারা এসব চ্যানেল নিয়মিত দেখেন তাদের অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এমন কাজ কনজিউমার রাইটসের (ভোক্তা অধিকার) আন্তর্জাতিক নীতিবিরুদ্ধ বলেই প্রতীয়মান। আমরা ইউটিউবের কাছে এর ব্যাখ্যা চাইব। সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা না পেলে আমরা পাল্টা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।’