ভারতের হাসপাতালগুলোতে চলছে সুনসান নীরবতা

কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে বাংলাদেশি রোগীদের পৃথক কাউন্টার
কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে বাংলাদেশি রোগীদের পৃথক কাউন্টার   © সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও তার ভারতে পালিয়ে  যাওয়ার পর থেকেই সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে। সম্প্রতি সম্মিলিত সনাতন জাগরণ মঞ্চের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের জেরে আরও তিক্ত হয়েছে প্রতিবেশী দু’দেশের সম্পর্ক।

চলমান ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে বাংলাদেশি রোগীদের আনাগোনা। এর ফলে সেখানকার হাসপাতালগুলোতে চলছে একপ্রকার সুনশান নীরবতা। বিশেষ করে যে-সব হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের ওপরে অনেকটাই নির্ভরশীল ছিল, তারা পড়েছে চরম বিপাকে।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে রোগী যাওয়া প্রায় ৭০ শতাংশ কমে যাওয়ায় কলকাতাসহ ভারতের অন্যান্য শহরে হাসপাতাল ব্যবসায় ব্যাপক ধস নেমেছে।

এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব হসপিটালস অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট ও কলকাতার উডল্যান্ডস হসপিটালের প্রধান নির্বাহী অফিসার রূপক বড়ুয়া বলেন, 'আগে প্রতিমাসে গড়ে ভারতের মেডিকেল ভিসা দেওয়া হতো ২০-২৫ হাজার। এখন সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ৭০০ থেকে ১ হাজারে। তা-ও সব নতুন রোগী নয়। পুরোনো রোগী, যাদের চেকআপ আছে, তারাই ভিসা পাচ্ছেন। এ কারণে পুরো ভারতের হাসপাতাল শিল্পের ওপরেই বড় ধাক্কা এসেছে। 

ভারতের মনিপাল হসপিটালসের পূর্বাঞ্চলীয় চিফ অপারেটিং অফিসার ডা. অয়নাভ দেবগুপ্ত বলেন, 'এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে বাংলাদেশ থেকে বহু রোগী ভারতের হাসপাতালগুলোতে আসতে পারছেন না। তবে আমাদের যারা পুরোনো রোগী, তাদের চিকিৎসায় যাতে ছেদ না পড়ে, সেজন্য আমরা টেলিমেডিসিনের ব্যবস্থা করেছি। এই অনলাইন কনসালটেশনের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে।'

প্রসঙ্গত, চলমান ইস্যুকে কেন্দ্র করে  বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিবে দিবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিল কলকাতা ও ত্রিপুরার হাসপাতালগুলো। তবে এরই মধ্যে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ভারতের একাধিক হাসপাতাল। অনেক হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের জন্য বিশেষ ছাড়ও ঘোষণা করেছে।


সর্বশেষ সংবাদ