ট্রাম্প না কমলা, কার পক্ষ নেবে ভারত

ট্রাম্প না কমালা, কার পক্ষ নেবে ভারত
ট্রাম্প না কমালা, কার পক্ষ নেবে ভারত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। আবার ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেন নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম যেসব বিশ্বনেতা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন তার মধ্যে মোদি ছিলেন অন্যতম।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক থিংক ট্যাংক চ্যাথাম হাউজের এশিয়া-প্যাসিফিক প্রোগ্রামের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র রিসার্স ফেলো চেইতিগি বাজপায়ী বলেন, এবার নির্বাচনে একজন প্রার্থীর চেয়ে অন্যজনের প্রতি মোদির শক্তিশালী কোনো পছন্দ আছে বলে মনে করি না। ভারতের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক গভীর করার ক্ষেত্রে উচ্চ মাত্রায় দ্বিপক্ষীয় ঐক্যমত আছে। ভারতকে তারা দীর্ঘমেয়াদে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখে। এই ঐকমতের কারণ হতে পারে চীনকে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত প্রতিপক্ষ বলে মনে করে।

বাজপেয়ী এ বিষয়ে একটি আর্টিক্যাল লিখেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তিনটি মূল ভিত্তির ওপর যুক্ত রয়েছে। তা হলো,- ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র, চীনবিরোধী একটি রক্ষাকবচ হিসেবে ভারতকে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের সম্ভাবনাময় অর্থনীতি।

ওয়াশিংটন ডিসি ভিত্তিক উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান আল জাজিরাকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে উভয় প্রার্থীর ভাল-মন্দ বিবেচনা করবে ভারত। যখন বিষয়টি ট্রাম্প প্রসঙ্গে আসে তখন নয়া দিল্লিতে এমন একটি সেন্স দেখা যায় যে, তিনি নির্বাচিত হলে ভারতের জন্য ভাল হবে।

এর একটা কারণ হতে পারে, মানবাধিকার সহ বিভিন্ন ইস্যুতে ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাবেন না ট্রাম্প। তা সত্ত্বেও ট্রাম্প বিজয়ী হলে তার শাসন ব্যবস্থা কেমন হবে তার কোনো পূর্বাভাস পাওয়া যায় না। এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে পারে ভারত।

বাজপেয়ী বলেন, প্রথম মেয়াদে যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন তিনি মোদির সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। অন্যদিকে কমালা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি বর্তমান বাইডেন প্রশাসনকে অব্যাহত রাখবেন।

উল্লেখ্য, বাইডেনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সম্পর্গ গভীর হয়েছে প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক খাতে। আনুষ্ঠানিকভাবে সামরিক মিত্র না হওয়া এবং ভারত রাশিয়ার সামরিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হওয়া সত্ত্বেও ভারতকে ‘মেজর ডিফেন্স পার্টনারৎ বানিয়েছেন বাইডেন।

২০২২ সালের মে মাসে টোকিওতে কোয়াড সামিট বসে। এর এক ফাকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র ‘ইনিশিয়েটিভ ফর ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজিস ঘোষণা দেয়। এর উদ্দেশ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমতা বা এআই সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। কোয়ান্টাম কমিউটিং এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত সহায়তা বৃদ্ধি করা। অন্যদিকে মোদিকে ‘ফ্যান্টাস্টিক’ বলে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে ভারতকে তিনি আমদানি শুল্কের অপব্যবহারকারী হিসেবে অভিহিত করেন। [সূ্ত্র: আল জাজিরা]


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence