পানি-বিদ্যুৎ ও খাবারের চরম সংকটে গাজাবাসী

ইসরায়েলের হামলায় নিহতের স্বজনেরা
ইসরায়েলের হামলায় নিহতের স্বজনেরা   © সংগৃহীত

ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান গাজায় দেখা দিয়েছে চরম মানবিক সংকট। টানা পাঁচ দিন ধরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় অসংখ্য ভবন ধসে পড়েছে। দেখা দিয়েছে খাবারের চরম সংকট। অনেক জায়গায় নেই বিদ্যুৎ। সুপেয় পানির সংকটে ভুগছেন গাজাবাসী। অনেকে জীবন বাঁচাতে পরিবার নিয়ে নিরাপদ জায়গায় পালিয়েছেন। অনেকে আশ্রয়শিবিরে উঠেছেন। সেখানেও হামলা হচ্ছে।

গাজা উপত্যকা হামাসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই গাজায় বিমান হামলা শুরুর পরপরই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়ভ গ্যালান্ট বলেছেন, গাজাকে পুরোপুরি অবরুদ্ধ করা হবে। খাবার, পানি, জ্বালানি, বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। ইওয়ভ গ্যালান্ট বলেন, ‘আমরা বর্বরদের সঙ্গে যুদ্ধ করছি। সেই অনুযায়ী জবাব দেওয়া হবে।’

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গাজায় দুই শতাধিক জায়গায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য, ইসরায়েলি হামলায় মৃত মানুষের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান থেকে বেছে বেছে আবাসিক ভবন, মসজিদে হামলা চালানো হচ্ছে।

জ্বালানি, সুপেয় পানি ও কিছু ক্ষেত্রে খাবারের জন্য ইসরায়েলের ওপর নির্ভর করতে হয় গাজাবাসীকে। ইসরায়েলের বেঁধে দেওয়া সময়ে, নির্ধারিত করিডর হয়ে গাজায় খাবার-পানি ঢোকে। হামাসের হামলার জবাবে গাজার ওপর কড়া অবরোধ আরোপ করেছে ইসরায়েল। ভূমি, সাগর ও আকাশপথে গাজায় পণ্য প্রবেশ করা দুরূহ। তবে কিছু ক্ষেত্রে মানবিক সহায়তা ও বাণিজ্যের জন্য দুটি সীমান্ত ক্রসিং উন্মুক্ত রেখেছে ইসরায়েল।

আরও পড়ুন: হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ১২০০ ছাড়াল

এ পরিস্থিতিতে গত সোমবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, ‘হামাসের হামলার আগে থেকেই গাজার মানবিক পরিস্থিতি ভয়ংকর ছিল। এখন এ পরিস্থিতি আরও দ্রুত খারাপের দিকে যাবে।’

গাজায় খাবার প্রবেশ ও মানুষ চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দুটি ক্রসিং ওরেজ ও কারেম শালোম। যুদ্ধ শুরুর পর দুটি ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। 

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি গত রোববার জানিয়েছে, তাদের কাছে গাজাবাসীর জন্য এক মাসের খাবার মজুত আছে। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, দ্রুত খাবারের জোগান দিতে না পারলে চরম সংকটে পড়বে গাজার মানুষ। গাজায় এখন বিদ্যুতের সংকট চরম রূপ নিয়েছে। এ অবস্থায় খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও দেখছে সংস্থাটি।


সর্বশেষ সংবাদ