ফেসবুকে বেশি সময় ব্যয় করা ৩ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:২৭ PM , আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:০৪ PM
পৃথিবীর যে সব দেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত ও ফিলিপাইনের মানুষ।ফেসবুক কোন দেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় তার একটি একটি তালিকা প্রকাশ করেছে মেটা। সংস্থাটি জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সাল পর্যন্ত ডিসেম্বরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রতিদিন সবচেয়ে বেশি প্রবেশ করেছেন এই তিন দেশের মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে মেটা জানিয়েছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দৈনিক গড়ে প্রায় ২০০ কোটি মানুষ ফেসবুকে একবার হলেও প্রবেশ করেছেন। যা ২০২১ সালের তুলনায় ৪ শতাংশ বেশি। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দৈনিক গড় ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১৯৩ কোটি। মূলত বাংলাদেশ, ভারত ও ফিলিপাইনের ব্যবহারকারীদের কারণেই তাদের গড় ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে।
এ ব্যাপারে মেটা বলেছে, ‘২০২১ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দৈনিক অ্যাক্টিভ ব্যবহারকারীর (ডিএইউ) সংখ্যা বৃদ্ধির সূত্র ছিলেন বাংলাদেশ, ভারত এবং ফিলিপাইনের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।’
নিবন্ধিত এবং লগইন করা ফেসবুক ব্যবহারকারী যারা ওয়েবসাইট অথবা মোবাইল ফোনে অথবা মেসেঞ্জারে নির্দিষ্ট সময়ে প্রবেশ করে থাকেন তাদের ‘দৈনিক অ্যাক্টিভ ব্যবহারকারী’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে মেটা। দৈনিক ব্যবহারকারীর শীর্ষে নয়, মাসিক অ্যাকটিভ ব্যবহারকারীর তালিকারও শীর্ষ তিনে রয়েছে বাংলাদেশ। এই তালিকায় বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে ভারত ও নাইজেরিয়া।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশি, ভারতীয় ও নাইজেরিয়ানরা সবচেয়ে বেশি ফেসবুক ব্যবহার করেছেন। ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ফেসবুকের অ্যাক্টিভ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘পঙ্গু করার মিথ্যা অভিযোগ’ করেছেন তসলিমা, জবাব দিল দিল্লির হাসপাতাল
মেটা তার বিনিয়োগকারীদের সতর্কতা দিয়ে বলেছে, ভারত ও জার্মানির মতো দেশে নির্দেশনা অনুযায়ী কন্টেন্ট না সরানোয়, নিরাপত্তা বাহিনীকে সহযোগিতা না করায় এবং বাধ্যবাধকতা না মানায় তাদের শাস্তি পেতে হয়েছে বা জরিমানা দিতে হয়েছে। ভবিষ্যতেও এমনটি হতে পারে।
প্রতিবেদনে মেটা আরও জানিয়েছে, ভারত ও তুরস্কের মতো কিছু দেশ ডাটা নিয়ন্ত্রণ শর্ত, স্থানীয় স্টোরেজ এবং প্রসেসিংয়ের শর্ত বা এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা কার্যকরের শর্ত দিয়েছে বা কার্যকরের পরিকল্পনা করছে। যে কারণে ওইসব দেশে মেটার স্বাভাবিক সেবা ও কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে বা কার্যক্রম চালানোর ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সূত্র: এনডিটিভি