৬ জেলার প্রাথমিকের ৪৭৭ শিক্ষকের জালিয়াতি ধরা, নিয়োগ স্থগিত

  © ফাইল ফটো

দেশের ৬টি জেলার ৪৭৭ জন প্রাথমিকের শিক্ষকের নিয়োগ জালিয়াতি ধরা পড়ায় ওই নিয়োগের কার্যকারিতা স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার এই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর ৪ হাজার ৮২৫টি স্কুল সরকারিকরণ করা হয়। শিক্ষকদের যোগ্যতা নির্ধারণে তখন গঠন করা হয় সার্চ কমিটি। এতে বাদ পড়েন অনেকে। কিন্তু ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, রংপুর, জামালপুর, নড়াইল ও কুষ্টিয়ার ৪৭৭ শিক্ষক জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেদের যোগ্য প্রমাণিত করেন। তাদের মধ্যে ২৬ জন শিক্ষক দাবি করেন, তাদের নিয়োগ হয়েছে ২০১৬ সালের ৭ জুলাই।

তবে সরকারি নথি অনুযায়ী, ওই বছর ১ থেকে ৯ জুলাই ছিল ঈদুল ফিতরের ছুটি। শুধু তাই নয় হাইকোর্টে দেওয়া একটি নথিতে ৪৭৭ শিক্ষকের যে সাক্ষর রয়েছে তাও একজনের হাতেই করা বলেও আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়। 

শুনানিতে এসব নথি দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। এর আগে হাইকোর্টের বেঞ্চ এক রায়ে শিক্ষকদের পক্ষে রায় দেন, যার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করে রাষ্ট্রপক্ষ।

এদিকে, জালিয়াতির তথ্য আপিল বিভাগে প্রকাশের পর শিক্ষকদের অনেককেই দ্রুত এজলাস ছেড়ে চলে যেতে দেখা গেছে।

পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন জানান, এত সব জাল নথি দেখেও হাইকোর্টের যে বিচারপতি রায় দিয়েছিলেন, তিনি (বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী) অবিচারক সুলভ আচরণের জন্য এরই মধ্যে হারিয়েছেন বিচারিক ক্ষমতা। সেই বেঞ্চের দুই বিচারকই ২০১৮ সালে ৭ মামলায় ৪৭৭ জন  শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়ার রায় দেন। তবে সেই রায়ের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আপাতত এদের সবার নিয়োগ স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence