করোনাভাইরাস বাংলাদেশেও ভয়াবহ রূপে আসছে: ড. ইউনুস
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২০, ০৫:৫৪ PM , আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২০, ০৬:২৩ PM
করোনা ভাইরাস বাংলাদেশেও ভয়াবহ রূপে আসছে, তাই এখই সতর্ক হওয়া জরুরী জানিয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেছেন, বাংলাদেশে অবশ্যই (মহাপ্লাবন) আসছে। এটি আসার প্রায় দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বাংলাদেশ। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় আমরা দেরি করে ফেলেছি। আর দেরি করার সুযোগ নেই।
সম্প্রতি ড. ইউনুস দেশের একটি গণমাধ্যমে লেখা কলামে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, (মহাপ্লাবনের) জোয়ার ঠেকাতে হলে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে পরীক্ষা, পরীক্ষা, পরীক্ষা। যতজনকে পরীক্ষা করার সামর্থ্য আমাদের আছে ততজনকে পরীক্ষা। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ঠিক এ কথাই বারবার আমাদের বলে যাচ্ছে। পরীক্ষা। পরীক্ষা। পরীক্ষা। চিহ্নিত করো। আলাদা করো। চিহ্নিত করো। আলাদা করো।
তিনি বলেন, এটা সোজা হিসাব। এই শিক্ষা আমরা ‘জুতা আবিষ্কারের’ কাহিনী থেকে অনেক আগেই পেয়েছি। আমি যদি ধুলা থেকে নিজের পাকে মুক্ত রাখতে চাই, তাহলে সারা দেশ থেকে ধুলা পরিষ্কার করার কাজে লাগতে পারি, অথবা নিজের পায়ে জুতা পরতে পারি। আক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সকলের কাছ থেকে দূরে রাখতে পারি, অথবা আমরা সবাই তার ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে পারি। প্রথমটাই সোজা কাজ, যখন আক্রান্ত ব্যক্তি মাত্র কয়েকজন, আর আক্রান্ত হতে পারে যারা তাদের সংখ্যা কয়েক কোটি। কয়েকজনকে পৃথক করে রাখতে পারলে কয়েক কোটি লোক বেঁচে যায়।
তিনি বলেন, যদি আক্রান্তদের চিহ্নিত করার যন্ত্রপাতির অভাব থাকে, তাহলে যেটুকু সামর্থ্য আছে তা দিয়ে শুরু করতে পারি। তাদের আলাদা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। মানুষ জানবে প্রতিদিন কতজন আক্রান্ত ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। মানুষ উৎসাহিত হবে এবং আক্রান্ত লোকের থেকে সাবধান হবে। যে ক’টা যন্ত্র আছে, সে ক’টার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে হবে। মানুষকে তার ফলাফল জানতে দিতে হবে। আরো যন্ত্র কখন ক’টা আসছে, সেই তথ্য জানাতে হবে। একজনকেও যদি চিহ্নিত করতে পারি এবং তাকে আলাদা রাখতে পারি, তাহলে তার থেকে হাজার মানুষকে আমরা রক্ষা করতে পারলাম। পরীক্ষার গুরুত্ব কোনোভাবে কোনো সময় খাটো করা যাবে না। পরীক্ষার কোনো বিকল্প নেই।