মাহরীন চৌধুরীকে জাতি মনে রাখবে
- মো. নিজাম উদ্দিন
- প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৫, ১০:৫০ PM , আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৫, ০১:৩৩ PM
বলা হয় শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। আর শিক্ষার মেরুদণ্ড বলা চলে শিক্ষকদের। শিক্ষকরা জাতির স্থপতিও। শিক্ষার্থীদের জীবনে শিক্ষকের জীবনের গুণাবলি অনেক বেশি প্রভাব রাখে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মানস গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অনেক।
মাহরীন চৌধুরী মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা ছিলেন। ছিলেন বলতে হচ্ছে এজন্য যে তিনি আজ আর নেই! পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন! কিন্তু এই পৃথিবীতে একজন মহীয়সী নারী হিসাবে এমন এক দুঃসাহসিক কাজ করে গেছেন যার জন্য মানুষ চিরদিন তাঁকে মনে রাখবে শ্রদ্ধায়,ভালোবাসায়।
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার স্থান থেকে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিশ জন শিক্ষার্থীর জীবন বাঁচিয়েছেন। আর অবশেষে ঝলসে যাওয়া দেহ নিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন।
পৃথিবীতে আমরা কেউই চিরদিন থাকবো না। চলে যেতে হবে। মহান মানুষেরাও চলে যান তব তাদের মহান কাজ এবং আত্মত্যাগের মাধ্যমে স্মরণীয় হয়ে থাকেন অনন্তকাল।
মাহরীন চৌধুরী এমনই এক মহান নারী। তিনি তাঁর শিক্ষার্থীদের জীবন বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করে আত্মত্যাগের যে মহান নজীর সৃষ্টি করে গেছেন তা এই জাতি শ্রদ্ধার সাথে চিরদিন মনে রাখবে।
মাহরীন চৌধুরীর বীরোচিত এই আত্মত্যাগের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি থাকা উচিত। যাতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম উনার এই আত্মত্যাগকে মানুষ শ্রদ্ধা ভালোবাসায় স্মরণ করে। আশা করি রাষ্ট্র এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে শুধু আত্মত্যাগের পাঠই দেন না, কোনো কোনো শিক্ষক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যান। মাহরীন চৌধুরী তেমনই একজন হয়ে রইলেন। আত্ম কেন্দ্রীক এই সমাজে কেউ কেউ এখনো অন্যের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বিলিয়ে দেয় এর চেয়ে মহান ঘটনা আর কী হতে পারে?
লেখক: সহ-সভাপতি, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ