আড়াই হাজার শূন্য পদের ভুল তথ্য পেয়েছিল এনটিআরসিএ

এনটিআরসিএ
এনটিআরসিএ  © ফাইল ছবি

৭ম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করেছিল বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। সংগৃহীত তথ্যের মধ্যে স্কুল-কলেজের প্রায় আড়াই হাজার পদের তথ্য সঠিক ছিল না। অর্থাৎ এসব পদের ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল এনটিআরসিএকে।

রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) স্কুল-কলেজের শূন্য পদের সঠিকতা যাচাইয়ের তথ্য এনটিআরসিএকে পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এনটিআরসিএতে পাঠানো চিঠি থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

মাউশির পাঠানো চিঠি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, স্কুলের প্রবেশ পর্যায়ে সহকারী শিক্ষকের মোট শূন্য পদ পাওয়া গিয়েছিল ২৭ হাজার ৩০০টি। এর মধ্যে পদের সঠিকতা রয়েছে ২৫ হাজার ২৫৪টি। অর্থাৎ দুই হাজার ৪৬টি ভুল পদের তথ্য পেয়েছিল এনটিআরসিএ। অন্যদিকে কলেজের প্রভাষক পদে মোট ৪ হাজার ৭৫টি শূন্য পদের মধ্যে সঠিকতা পাওয়া গেছে ৩ হাজার ৭৭২টি। সঠিকা পাওয়া যায়নি ৩০৩টি পদের। ফলে সব মিলিয়ে দুই হাজার ৩৪৯টি পদের ভুল তথ্য পেয়েছিল এনটিআরসিএ।

এনটিআরসিএকে পাঠানো চিঠিতে মাউশি জানিয়েছে, ৭ম নিয়োগ সুপারিশের বিজ্ঞপ্তি প্রচারের আগে বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক স্তরের এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষকের শূন্যপদের চাহিদা, অধিযাচন (ই-রিকুইজিশন) অনলাইনে সংগ্রহ করা হয়েছে। শূন্যপদের চাহিদাটি (ই- কুইজিশন) অনলাইনে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান সাবমিটের পর সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং জেলা শিক্ষা অফিসারের যাচাইয়ের পর এনটিআরসিএর কাছে অনলাইনে পাঠিয়েছে। 

ই-রিকুইজিশনে উল্লিখিত শূন্যপদের প্রাপ্যতা সর্বশেষ জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী সঠিক আছে কিনা সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর অধিকতর যাচাই করে সফট কপির সর্বডানে Comments কলামে তথ্য সঠিক হলে Correct, তথ্য সঠিক না হলে Incorrect মন্তব্য লিপিবদ্ধ করে অন্যান্য তথ্য হবহু বহাল রেখে এনটিআরসিএ বরাবর পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতাধীন ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এই তথ্য যাচাই করে সংগ্রহ করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!