৭ম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অনুমতি চলতি সপ্তাহে মিলবে কি?
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:২৯ PM , আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩২ PM
বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭২ হাজার শূন্য পদের তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত তথ্যের সঠিকতা যাচাইয়ের কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর ৭ম গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব পদে নিয়োগ সুপারিশ করা হবে। তবে এখনো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সঠিকাতা যাচাইয়ের তথ্য পাঠায়নি। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে চলতি সপ্তাহে ৭ম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অনুমোদন মিলবে কি না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এবং মাউশি কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগামীকাল রবিবারের মধ্যে শূন্য পদের সঠিকতা যাচাইয়ের তথ্য এনটিআরসিএতে পাঠানো হতে পারে। তিন অধিদপ্তরের তথ্য পাওয়ার পর বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে এনটিআরসিএ। এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনের অনুমতি পাওয়ার পর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অনুমোদন পেতে পারে এনটিআরসিএ।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে মাউশির কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেছে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস। তবে তারা কেউ এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলতে রাজি হননি। নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারি ছুটির কারণে গত বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত তথ্য এনটিআরসিএতে পাঠানো যায়নি। আগামীকাল (রবিবার) তথ্য পাঠানোর কথা রয়েছে।’
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (মাধ্যমিক-২) মো. হেলালুজ্জামান সরকার দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘৭ম গণবিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত কোনো ফাইল এখনো আমার দপ্তরে আসেনি। চিঠি পাওয়ার পর এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে।’
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর সকালে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেছিলেন, ‘সপ্তম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন। এই দুইটি কাজ সম্পন্ন হলে আমরা গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করব। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হবে।’
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সপ্তম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের লক্ষ্যে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করেছে এনটিআরসিএ। এ গণবিজ্ঞপ্তির জন্য ৭২ হাজার শূন্য পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে স্কুল-কলেজে ৩০ হাজার ২৭৯টি শূন্য পদের তথ্য পাওয়া গেছে। মাদ্রাসায় ৪০ হাজার ৮৩৮ এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৮৯১টি পদের তথ্য পাওয়া গেছে।