৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশ কবে?

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ও এনটিআরসিএ লোগো
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ও এনটিআরসিএ লোগো  © ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশ আগামী দুইদিনের মধ্যে করা হতে পারে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নির্ভর করছে শিক্ষা উপদেষ্টার অনুমোদনের ওপর বলে জানা গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে ৪১ হাজারের অধিক প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ করতে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে এনটিআরসিএ। সংস্থাটির চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আজ রবিবার আবেদন নিয়ে এসেছিলেন। ইতোমধ্যে শিক্ষা সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. মজিবর রহমান আবেদনে অনুমোদন দিয়েছেন।

ওই সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, আগামীকাল সোমবার (১৮ আগস্ট) শিক্ষা উপদেষ্টার দপ্তরে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশের ফাইল উঠবে। উপদেষ্টার অনুমোদন পেলে আগামীকালই সুপারিশ করা হতে পারে। তবে অনুমোদন পেতে বিলম্ব হলে সুপারিশ একদিন পিছিয়ে যেতে পারে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আগামীকাল উপদেষ্টা সুপারিশের আবেদন দেখবেন। একইসঙ্গে বিষয়টি প্রেজেন্টেশন আকারে দেখানো হতে পারে। এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সেখানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির নিয়োগ সুপারিশ করা হবে।’

৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশ কবে করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘সুপারিশের সবকিছু প্রস্তুত রয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে প্রার্থীদের সুপারিশ করা হবে।’ ৪১ হাজারের বেশি প্রার্থী সুপারিশ পাবেন বলেও জানান তিনি।

গত ১৬ জুন লক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগের ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনগ্রহণ শুরু হয় গত ২২ জুন। যা চলে ১০ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত। আবেদন ফি জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করা ছিল ১৩ জুলাই রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, এ গণবিজ্ঞপ্তিতে ৫৭ হাজারের বেশি প্রার্থী আবেদন করেছেন। 

অথচ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট এক লাখ ৮২২টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে—স্কুল ও কলেজে রয়েছে ৪৬ হাজার ২১১টি, মাদ্রাসায় ৫৩ হাজার ৫০১টি এবং কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ১১০টি পদ ফাঁকা। সে হিসেবে প্রায় অর্ধেকের মতো পদ ফাঁকাই থেকে যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ