১৮তম নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল

এক বোর্ডে বেশি ফেল, অন্য বোর্ডে কম— যা বলছে এনটিআরসিএ

এনটিআরসিএ লোগো
এনটিআরসিএ লোগো  © ফাইল ছবি

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষায় কোনো বোর্ডে অধিক সংখ্যক প্রার্থীকে ফেল, আবার কোনো বোর্ডে কম ফেল করানোর অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা। যদিও বিষয়টিকে স্বাভাবিক বলছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ বা এনটিআরসিএ।

গত ৪ জুন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়। এতে রেকর্ড ২০ হাজারের বেশি প্রার্থী ফেল করেন। ফল প্রকাশের পর থেকেই প্রার্থীরা নানা ধরনের অভিযোগ তুলতে শুরু করেন। ফেল করা প্রার্থীদের অভিযোগ, ভাইবাতে কোনো বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে ২৯ জনকে ফেল করানো হয়েছে। আবার কোনো বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে ২৭ জনই পাস করেছেন। যা স্বাভাবিক হতে পারে না। এ অবস্থায় ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের দাবি করেছেন তারা।

এ বিষয়ে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থী মো. রবিউল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘১৮তম নিবন্ধনে ২০ হাজারের বেশি প্রার্থীকে ফেল করানো হয়েছে। অথচ মৌখিক পরীক্ষার ২০ নম্বরের মধ্যে প্রশ্নোত্তরের জন্য রয়েছে মাত্র ৪ নম্বর। এই ৪ নম্বরের জন্য কেউ ফেল করবে এমনটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অতীতে কোনো নিবন্ধনে এত বিপুল সংখ্যক প্রার্থী ফেল করেননি।’

তিনি জানান, ‘কোনো বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে একজন পাস করেছে। আবার কোনো বোর্ডে ৩০ জনের ২৭ জন। এখানে কোনো না কোনো অনিয়ম হয়েছে বলে আমাদের মনে হয়েছে। আমাদের ফলাফল পুনরায় প্রকাশ করতে হবে। যারা ৩ ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভাইবায় অংশ নিয়েছেন, তাদের মেধা এতটাও কম নয় যে, তারা গণহারে ফেল করবেন।’

মো. ইমরান নামে আরেক প্রার্থী জানান, ‘অতীতে কোনো নিবন্ধনে এত বিপুল সংখ্যক প্রার্থীকে ফেল করানো হয়নি। আমাদের আগের ব্যাচ অর্থাৎ ১৭তম নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফলাফলে এক হাজারের কিছু বেশি প্রার্থী ফেল করেছিল। আমরা লক্ষ্য করেছি, এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান যে বোর্ডে ছিলেন, ওই বোর্ডে মৌখিক পরীক্ষা দেওয়া প্রার্থীরাই বেশি ফেল করেছেন। বিষয়টির তদন্ত হওয়া দরকার। একইসঙ্গে আমাদের ফলাফল পুনরায় প্রকাশ করতে হবে।’

প্রার্থীদের এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান এবং সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হককে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সংস্থাটির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘মৌখিক প্রার্থীদের নানা বিষয় দেখে নম্বর দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের প্রেজেন্টেশন কেমন, পোশাক, কথাবার্তা, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের যোগ্যতা রয়েছে কি না এগুলো গভীরভাবে দেখা হয়েছে। যারা সবকিছুতে ঠিক ছিল, তাদের পাস করানো হয়েছে। তবে ন্যূনতম যোগ্যতা নেই এমন প্রার্থীদের ফেল করানো হয়েছে। কাউনে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করানো হয়নি।’


সর্বশেষ সংবাদ