শিক্ষক নিয়োগে ৩০ শতাংশ নারী কোটা বহাল রাখার দাবি মহিলা পরিষদের

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ  © সংগৃহীত

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারী কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। সংগঠনটি শিক্ষক নিয়োগে ৩০ শতাংশ নারী কোটা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে। আজ রবিবার (২৫ মে) এক বিবৃতিতে মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক শিক্ষায় কোটা বাতিলের ধারাবাহিকতায় এবার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও নারী কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমন সিদ্ধান্ত নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষা খাতে নারীদের অংশগ্রহণের পথে বড় বাধা তৈরি করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, দেশের গ্রামীণ ও পশ্চাৎপদ এলাকার বহু শিক্ষিত নারী এ কোটা ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষা খাতে প্রবেশ ও প্রতিষ্ঠা লাভের সুযোগ পাচ্ছিলেন। শিক্ষাঙ্গনে নারী শিক্ষকদের উপস্থিতি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিবাচক, নিরাপদ ও সহানুভূতিশীল পরিবেশ গড়ে তোলে।

আরও পড়ুন: ঢাবিতে হিজাবকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী প্রতীক ঘোষণা

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একের পর এক নারী কোটা বাতিলের এ সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী। শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা শুধু সমতা রক্ষার বিষয় নয়, এটি নারী শিক্ষার বিস্তার ও নারীর আর্থসামাজিক অবস্থান উন্নয়নের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মনে করে, নীতিনির্ধারক মহলকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে এবং দ্রুত শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বহালের পদক্ষেপ নিতে হবে।

এর আগে, গত ২২ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারী কোটা বাতিল করা হয়। ১৫ মে তারিখে জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এখন থেকে প্রবেশ পদে (এন্ট্রি লেভেলে) শিক্ষক নিয়োগে আর নারী কোটা থাকবে না।

তারও আগে, শহরাঞ্চলের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৪০ শতাংশ এবং মফস্বলে ২০ শতাংশ নারী কোটা চালু ছিল। গড়ে অন্তত ৩০ শতাংশ নারী শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলক ছিল। কোটা বাতিলের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে নানা মহল থেকে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে।


সর্বশেষ সংবাদ