বিশেষ নাকি ৬ষ্ঠ—কোন গণবিজ্ঞপ্তি আগে?

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ও এনটিআরসিএ’র লোগো
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ও এনটিআরসিএ’র লোগো  © ফাইল ছবি

শিক্ষক সংকট দূর করতে ১-১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের নিয়ে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রস্তাবনা প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে রয়েছে। সম্মতি পেলে শিক্ষক নিয়োগের বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তবে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে দ্রুত ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি করেছেন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একাধিক সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, আগামী অক্টোবর মাসে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হতে পারে। মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ এবং চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগবে। এছাড়া শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ, সেটি যাচাই-বাছাই করতে আরও অন্তত এক মাস সময় লাগতে পারে। ফলে চলতি বছরের শেষ দিকে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারিতে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হতে পারে।

অন্যদিকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। এ বিষয়টি অনুধাবন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টার সম্মতি পেলে অক্টোবরের শেষ দিকে অথবা নভেম্বরে শিক্ষক নিয়োগের বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির আগেই বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে।

বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) মো. রবিউল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।

এদিকে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না বলে জানিয়েছে এনটিআরসিএ। সংস্থাটি জানিয়েছে, বর্তমানে বেসরকারি স্কুলগুলো প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে অল্প কিছু প্রার্থীর চাকরি হবে। অধিকাংশ পদ ফাঁকাই থাকবে। এই পদগুলো ছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন করে শূন্য হওয়া পদগুলোর তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। ফলে ১৮তম নিবন্ধনের পরীক্ষার্থীদের ক্ষতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র সদস্য (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ১৮তম নিবন্ধনের জন্য নতুন করে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা শুরুর পর এ কার্যক্রম চালানো হবে। কাজেই বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও ১৮তম নিবন্ধনের প্রার্থীরা কোনো ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।

জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ১৭তম নিবন্ধনের ৩৫ ঊর্ধ্বরা, ১-১২তম নিবন্ধনধারী এবং ১৩-১৪তম নিবন্ধনধারীরা একাধিকবার এনটিআরসিএ’র কার্যালয়ে এসেছেন। ১-১২তম ও ১৩-১৪তম নিবন্ধনধারীরা লাগাতার কর্মসূচি পালন করেছেন। এর প্রেক্ষিতে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির প্রস্তাব করে এনটিআরসিএ। এনটিআরসিএ’র প্রস্তাবনা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


সর্বশেষ সংবাদ