উপদেষ্টা ও সচিবের সম্মতিতে নতুন শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি: এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান

এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. সাইফুল্লাহিল আজম।
এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. সাইফুল্লাহিল আজম।  © ফাইল ছবি

নতুন শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ নিয়ে এখনই কিছু ভাবছে না বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। নতুন বিজ্ঞপ্তি জারির কাজ শুরুর পরিকল্পনা থাকলেও সরকারের প্রেক্ষাপট পরিবর্তনে সে প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে।

নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সম্মতি সাপেক্ষে সে কাজ শুরু করা হবে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. সাইফুল্লাহিল আজম। সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি। 

জানা গেছে, সর্বশেষ ২০২৩ সালের নভেম্বরের শুরুতে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এ নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সাড়ে তিন লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছে এনটিআরসিএ সূত্র। এ প্রার্থীরা ফল প্রকাশের অপেক্ষায় আছেন। 

আরও পড়ুন : যে কারণে পেছাচ্ছে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল, প্রকাশ কবে?

লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষা বা ভাইভার মুখোমুখি হবেন। ভাইভায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ পাবেন।এমন পরিস্থিতিতে সদ্য উচ্চশিক্ষার গণ্ডি পাড় হওয়া অনেকে ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারির সম্পর্কে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চাচ্ছেন। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. সাইফুল্লাহিল আজম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিব দায়িত্ব পেয়েছেন। তারা আসলে আমাদের রোডম্যাপ সম্পর্কে অবগত নন। তাই এখনই নতুন শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি নিয়ে কোন মন্তব্য করা যাচ্ছে না। 

তিনি আরও বলেন, আমরা নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিবকে আমাদের রোডম্যাপ সম্পর্কে জানাবো। তাদের সম্মতিক্রমে সে কার্যক্রম শুরু হবে। 

আরও পড়ুন : এখনও দেখা শুরু হয়নি শিক্ষক নিবন্ধনের খাতা, আগামী মাসে দিতে হবে ফল

প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে মেয়াদ থাকা শিক্ষক নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। ২০০৫ সালের পর থেকে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ ছাড়া বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার সুযোগ নেই। উচ্চশিক্ষা গণ্ডি পাড় হয়ে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নেন প্রার্থীরা। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা শিক্ষক নিবন্ধন সনদ অর্জন করেন।

পরবর্তীতে এনটিআরসিএ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রার্থীদের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদন নেন। মেধার ভিত্তিতে নির্বাচিত প্রার্থীদের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য নির্বাচন করা হয়। ভি-রোল ফরম পূরণ, পুলিশ ভেরিফিকেশন ও সনদ যাচাই শেষে প্রার্থীদের চূড়ান্ত নিয়োগ সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। 


সর্বশেষ সংবাদ